শনিবার বিকালে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হালনাগাদ এই তথ্য জানিয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১ হাজার ৩২০ জনকে নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭ হাজার ৬৮৪ জন।
আরও ১৮ জন মারা যাওয়ায় মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার ৯২৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৪৪২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ২৪ হাজার ১৪৫ জন হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৩টি ল্যাবে ১১ হাজার ৫৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষা হয়েছে ২৩ লাখ ৩৬ হাজার ২৬২টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনে সর্বাধিক শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনে সর্বাধিক।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২০তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩১তম অবস্থানে।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১২ জন, নারী ৬ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন।
মৃতদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা বিভাগের, ২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন খুলনা বিভাগের এবং ১ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ৯২৩ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৫৫৩ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৩৭০ জন নারী।
মৃতদের মধ্যে ৩ হাজার ৮৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও, ১ হাজার ৫৬৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭৩৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩২৬ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৩৪ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৬ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ১৭৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৭১ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৭০ জন খুলনা বিভাগের, ২০০ জন বরিশাল বিভাগের, ২৪৬ জন সিলেট বিভাগের, ২৬২ জন রংপুর বিভাগের এবং ১২২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
পুরনো খবর