কোভিড-১৯: দেশে আরও ১২৮২ রোগী শনাক্ত, মৃত্যু ৩৪ জনের

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২৮২ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছে আরও ৩৪ জন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2020, 09:23 AM
Updated : 24 Oct 2020, 09:52 AM

শনিবার বিকালে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।

শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ২৮২ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৪ জন হল।

আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৩৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০২ জনে দাঁড়াল।

আইইডিসিআরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ২৪৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৩৮ হাজার ২৭১ জন হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৯৪টি ল্যাবে ১০ হাজার ৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৮১টি নমুনা।

দেশে গত ২ অগাস্টের পর শনিবারও সবচেয়ে কম রোগী শনাক্তের তথ্য এল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।কোরবানির ঈদের পর দিন ২ অগাস্ট ৮৮৬ রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

তবে সেদিন নমুনা পরীক্ষাও অনেক কম হয়েছিল। সেদিন মোট ৩ হাজার ৬৮৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। গত ২৬ এপ্রিলের পর এর চেয়ে কম নমুনা পরীক্ষা আর হয়নি। ২৬ এপ্রিল ৩ হাজার ৪৭৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭০ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪০ শতাংশ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৫ অগাস্ট সেই সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে পঞ্চদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন, নারী ১১ জন।

মৃতদের মধ্যে ১৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১০ বছরের নিচে।

মৃতদের ১৭ জন ঢাকা বিভাগের, ৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪ জন খুলনা বিভাগের ও ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

 

দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৪ হাজার ৭০২ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৬৬১ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৪১ জন নারী।

তাদের মধ্যে ২ হাজার ৩৫৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও, ১ হাজার ২৮১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬১৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৮১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১০৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২১ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

মোট মৃতদের ২ হাজার ২৭৫ জন ঢাকা বিভাগের, ৯৯৬ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩১৭ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪০০ জন খুলনা বিভাগের, ১৮০ জন বরিশাল বিভাগের, ২১০ জন সিলেট বিভাগের, ২২৩ জন রংপুর বিভাগের এবং ১০১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

পুরনো খবর