হাসপাতালের লাইন্সেস নবায়ন এবং ওই সব সেবার অনুমোদন দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে দেওয়া চিঠিতে ডা. জাফরুল্লাহ অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক দুপুরে ফোন করে এসব কার্যক্রম বন্ধ করতে বলেছেন।
“তিনি বলেন কাজ চালু রাখলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরটিপিসিআর, ব্ল্যাড ট্রান্সফিউশন ও প্লাজমা সেন্টারের জন্য আলাদা অনুমতি চেয়ে চিঠি দিতে হবে।”
চিঠিতে বলা হয়, গত ১২ অগাস্ট জিআর কোভিড-১৯ আরটিপিসিআর পরীক্ষা এবং প্লাজমা সেন্টার কার্যক্রম চালু করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) বরাবর ইমেইলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে আবার চিঠি দেওয়া হল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালকের বক্তব্য ‘জনস্বার্থবিরোধী ও অবিবেচনাপ্রসূত’ বলে চিঠিতে লিখেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি লিখেছেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’কে স্বাধীনতার পর গণস্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নাম দেন এবং ১৯৭৪ সালে সরাসরি নির্দেশ জারি করে এ প্রতিষ্ঠানের জন্য ৩১ একর জমি হুকুম দখল করিয়ে দিয়েছিলেন।
“১৯৭২ সালে সরকারের অনুমোদনে গণস্বাস্থ্য জনহিতকর দাতব্য ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধিত হয় এবং গণস্বাস্থ্য জনহিতকর ট্রাস্টকে ১৫-ডি এর আওতায় সব ধরনের দান গ্রহণ ও আয়করমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল, গণস্বাস্থ্য ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গণস্বাস্থ্য ব্ল্যাড ব্যাংক অ্যান্ড ট্রান্সফিউশন সেন্টার গণস্বাস্থ্য জনহিতকর দাতব্য ট্রাস্টের অধীনে অলাভজনক সংগঠন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেয়নি। সে কারণে তিনি ফোন করেছিলেন।
“আমরা জানতে পেলাম তারা কাজ করছে যদিও তারা আমাদের কাছে স্বীকার করে নাই। বিষয়টি নিয়েই টেলিফোনে কথা হয়েছে।”
ডা. জাফরুল্লাহর পাঠানো চিঠি এখনও পাননি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।
তিনি রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার সারা দিন ঢাকার বাইরে ছিলেন।
“অফিসে না গেলে বলতে পারব না। কাল অফিসে গিয়ে বিষয়টি জেনে তারপর বলতে পারব।”