কোভিড-১৯: বিশেষজ্ঞদের কথায় ‘গা নেই’

প্রাদুর্ভাবের পাঁচ মাস পরও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলায় সংক্রমণ রোধে ফের অবরুদ্ধ অবস্থা তৈরির পক্ষে বিশেষজ্ঞরা বললেও তাতে গা দিচ্ছে না সরকার।

জয়ন্ত সাহা নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 August 2020, 05:45 PM
Updated : 21 August 2020, 05:45 PM

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিধিনিষেধ শিথিলে যেভাবে মানুষের মধ্যে উদাসীনতা তৈরি হয়েছে, তা ঠেকাতে হলে লকডাউন করে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে হবে।

“কিন্তু তারা (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়) তো আমাদের পাত্তাই দেয় না,” খেদের সঙ্গে বলেন কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রশীদ-ই মাহবুবও বলেন, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তো শুনছে না।”

‘রেড জোন’ হিসেবে কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করে লকডাউনের পর আরও এলাকা অবরুদ্ধ করার পরিকল্পনা ছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের; কিন্তু সরকারের সাড়া মেলেনি বলে তারাও আর এগোয়নি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমিনুর রহমান মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পূর্ব রাজাবাজার, ওয়ারী, টোলারবাগে লকডাউনে আমার মানুষের সাড়া পেয়েছিলাম। আরও কিছু এলাকা লকডাউন করার পরিকল্পনা চলছিল। কোরবানির ঈদের কারণে তা পিছিয়ে গেছে।

“আর লকডাউন বিষয়টি তো শুধু আমাদের একার না, আরও অনেক মন্ত্রণালয়, দপ্তর জড়িত।”

ঢাকা কিংবা ঢাকার বাইরে নতুন করে কোনো এলাকা লকডাউন করা হবে কি না,তা এখনও চূড়ান্ত করেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় বলেন, “নতুন করে আর লকডাউনের বিষয়ে আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি।

“এখন সংক্রমণ বিবেচনায় নতুন করে লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না, তা কেবল জানেন আমাদের মন্ত্রী মহোদয়। তিনিই ভালো বলতে পারবেন।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে এ নিয়ে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

তবে সম্প্রতি তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তদরের কোভিড-১৯ বুলেটিন বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির ‘উন্নতি’ ঘটছে বলে এই বুলেটিন প্রচারের প্রয়োজন এখন আর নেই।

তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একমত নন বিশেষজ্ঞরা; তারা বলছেন, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক দিকে যাচ্ছে, তা ঠেকাতে আশু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

বাংলাদেশে গত মার্চ মাসে নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটার পর শুক্রবার পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে, মারা গেছে ৩ হাজার ৮৬১ জন।

সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা শনাক্ত রোগীর চেয়ে ১০ গুণ বেশি হতে পারে।

গত বেশ কিছু দিন ধরেই দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজারের আশপাশেই রয়েছে, আর মৃতের সংখ্যা ৩০ জনের ‍উপরেই থাকছে।

সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয় দেশ। অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে ৩১ মে তুলে নেওয়া হয় এ অবরোধ।

এরপর প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ায় এলাকা ধরে ধরে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অনুযায়ী লাল, সবুজ ও হলুদ জোনে ভাগ করে প্রয়োজন অনুযায়ী বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ঢাকা শহরে ৪৫টি, চট্টগ্রাম শহরে ১১টিসহ নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে।

পরে রাজধানীর টোলারবাগ, পূর্ব রাজাবাজার, ওয়ারী এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়।

‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত ওয়ারীতে ৪ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলে

লকডাউন শেষে ফের বেড়েছে সংক্রমণ

ছোট এলাকাভিত্তিক লকডাউনে বড় ফল আসবে না বলে আগেই সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।

এখন দেখা যাচ্ছে, টোলারবাগ, পূর্ব রাজাবাজার, ওয়ারী লকডাউনের সময় সংক্রমণ কমে এলেও রোগীর সংখ্যা ফের বেড়েছে। 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় ও সামাজিক ব্যবস্থাপনা না করা গেলে সংক্রমণ কোনোভাবেই রোধ করা যাবে না।

গত ২৩ মার্চ রাজধানীতে প্রথম লকডাউন করা হয় টোলারবাগে । লকডাউনের সময় ওই এলাকায় রোগীর সংখ্যা ছিল ২৪ জন। ১০ মে যখন লকডাউন তোলা হয়েছিল, তখন সেই এলাকাতে একজনও কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী ছিলেন না।

লকডাউন উঠে যাওয়ার পর সেই এলাকার বাসিন্দারা বেশ কিছু দিন স্বাস্থ্য বিধি কঠোরভাবে মেনে চললেও এখন লকডাউনের আগের পরিস্থিতিই ফিরেছে।

জনগণের অবাধ চলাচলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানালেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশেনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ‍মুরাদ হোসেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লকডাউন থাকার সময় এলাকার মানুষের মধ্যে একটা সচেতনতা এসেছিল। গণজমায়েত কম হত, মাস্ক পড়ে চলাফেরা করত। ‍কিন্তু যত দিন গেল, মানুষের মধ্যে ঐসব সতর্কতা আর থাকল না।

“আর এখন তো স্বাস্থ্যবিধির কোনো বাধানিষেধ তারা শুনতে চায় না। তাদের এসব বললে তেড়ে এসে বলে, আগে তো খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে হবে।”

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআরের ১৪ অগাস্টের তথ্য বলছে, টোলারবাগে এখন ৩১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রয়েছেন।

ওয়ারী এলাকায় লকডাউন শুরু হয় গত ৪ জুলাই, যা চলে ২৫ জুলাই পর্যন্ত।

ওয়ারীতে লকডাউনের তিন দিনের মাথায় এই এলাকায় ৫১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৪ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। শতকরা হিসাবে পরীক্ষার তুলনায় আক্রান্তের হার দাঁড়িয়েছিল ৪৭ শতাংশের বেশি।

আইইডিসিআর জানিয়েছে, এবার ওয়ারীর লকডাউনের সময় ওই এলাকা থেকে ২৮৯ জনের নমুনা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৯৫ জনের নমুনায় কোভিড-১৯ পজিটিভ আসে।

আইইডিসিআরের ১৪ অগাস্টের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ওয়ারীতে এখন ২৬৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রয়েছেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি অবরুদ্ধ এলাকার যে সব বাসা-বাড়িতে কোভিড-১৯ রোগী রয়েছে, সে বাড়ির বাসিন্দারা যাতে বাইরে যেতে না পারেন, তাও নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

কিন্তু লকডাউন চলাকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একজন প্রতিবেদক সেখানে গিয়ে দেখতে পান,এসব নিয়মের পাত্তাই দেননি ওই এলাকায় দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবকরা।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আমাদের দিক থেকে চেষ্টার ত্রুটি করি নি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা পরীক্ষা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

“কিন্তু জনগণ এসব নির্দেশ মানতে চায় না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়াও লোকজন এখন বাইরে বের হয়ে আসছে। বাজার-হাট ছাড়াও সামাজিক নানা অনুষ্ঠানেও দিব্যি যোগ দিচ্ছে। করোনা নিয়ন্ত্রণ তো এভাবে করা যাবে না।”

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে পূর্ব রাজাবাজার লকডাউন করা হয় ৯ জুন, তা শেষ হয় ৩০ জুন। 

লকডাউনের মধ্যে ৬০ জন শনাক্ত হন রাজাবাজার এলাকায়। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর ১৪ অগাস্ট সে এলাকায় কোভিড-১৯ রোগী ছিল ১৪৪ জন।

স্থানীয় কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রোগী বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। আমরা সংক্রমণ কমাতে জনসাধারণকে সচেতন করছি। জনগণ না বুঝলে এর বেশি কী ই বা করতে পারি!”

‘লকডাউন, সঙ্গে র‌্যাপিড টেস্ট’

বাংলাদেশ আক্রান্তের সংখ্যায় ফ্রান্স, ইতালিকে ছাড়িয়ে যাওয়ায় এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নতুনভাবে লকডাউন এবং নমুনা পরীক্ষা বাড়িয়ে দেওয়ার উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বর্তমান লকডাউন পদ্ধতির সমালোচনা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নজরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যেভাবে বিদেশি কায়দায় লকডাউন করা হচ্ছে, এতে আমার মনে হয় জনগণের উপর অত্যাচার হচ্ছে।

“এলাকার প্রবেশপথ বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হচ্ছে, ভেতরে বন্দিদের কোনোভাবেই বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু যাদের জরুরি প্রয়োজনে বের হতে হবে, তারা আটকে যাচ্ছেন। এভাবে হবে না।”

তাহলে কীভাবে- তার উত্তরে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির এই সদস্য বলেন, “এখন কোনো এলাকায় রোগী খুঁজতে হলে, আগে থেকেই ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের জানিয়ে দিতে হবে যে, আমরা আপনাদের বাড়ি আসব, আপনারা বাড়িতে থাকবেন। সেখানে করোনাভাইরাসের লক্ষণ-উপসর্গ থাকা সন্দেহভাজনদের নমুনা সংগ্রহ করে তাদের আইসোলেশনে থাকার কথা বলতে হবে। পরে যারা কোভিড-১৯ পজিটিভ হবেন, তারা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনে রেখে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া দরকার। লকডাউনের নামে সবাইকে বন্দি করে অত্যাচার করার কোনো মানে তো হয় না।”

ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল অ্যান্টিবডি টেস্টের ব্যবস্থা করার উপর জোর দেন।

তিনি বলেন, “অ্যান্টিবডি টেস্ট করাতে পারলে আমরা খুব দ্রুত বুঝতে পারতাম, সংক্রমণের হার কোন পর্যায়ে আছে।”

বর্তমানে দেশে শুধু আরটিপিসিআর টেস্ট করার অনুমোদনই রয়েছে করোনাভাইরাসের নমুনা শনাক্তে। এই পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হলেও কেউ আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠলে তা শনাক্ত করা যায় না।

সংক্রমণ ব্যাপক হওয়ায় র‌্যাপিড টেস্টে গুরুত্বারোপ করছেন স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান, বিএসএমএমইউর অধ্যাপক ডা. রশীদ-ই-মাহবুবও।

তিনি বলেন, “পিসিআর টেস্টের অবস্থা তো দেখতেই পাচ্ছি । এখন তো টেস্টও কম করা হচ্ছে। টেস্টের রেজাল্ট পেতেও দেরি হচ্ছে। আমরা হটস্পট এরিয়াতে র‌্যাপিড টেস্টের পরামর্শ দিয়েছি। র‌্যাপিড টেস্ট করা গেলে আক্রান্তের হার বিবেচনা করে লকডাউনের সময়সীমা বা পদ্ধতি নির্ধারণ করা যেত।”

আগের লকডাউন পদ্ধতি মনঃপুত হয়নি অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুবের কাছ।

“যেভাবে লকডাউন করা হয়েছে, তাতে আসলে লকডাউনই করা হয়নি। এখন যেটা করতে হবে তা হল সংক্রমন বিবেচনায় এলাকাগুলোকে আগে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। তারপর ওই সব এলাকায় লক্ষণ-উপসর্গ থাকা রোগীদের যেমন টেস্ট করাতে হবে, যাদের লক্ষণ-উপসর্গ নেই, তাদেরও দ্রুত টেস্ট করাতে হবে “

আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বর্তমানে উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন এই পরিস্থিতিতে যে কোনো পদক্ষেপে সামাজিক সম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ দেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্দিষ্ট এলাকাভিত্তিক সামাজিক বেষ্টনী করতে গেলে সামাজিক সহায়তা দিতে হবে। তাদের খাবার পৌঁছে দিতে হবে, ওষুধ পৌঁছায়ে দিতে হবে। তবে সবার আগে কমিউনিটি সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।

“কোনো একটি এলাকায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা কেমন, তা ওই কমিউনিটির লোকজনই ভালো জানবেন। জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ছাত্রদের নিয়ে কমিউনিটি সম্পৃক্ততা বাড়ানো গেলে, তারাই ভালো বলতে পারবেন, কোন এলাকায় কখন লকডাউন করতে হবে।”

নমুনা পরীক্ষা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “শুধু টেস্ট করালেই হবে না। প্রত্যেক রোগী টেস্ট নাও করাতে পারে। অনেক খারাপ রোগীই হাসপাতালে আসছে না। প্রয়োজনে আইসোলেশন সেন্টারে আনতে হবে রোগীদের। প্রতিটি রোগীকে ফলোআপে রাখতে হবে।“