করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে মাস্ক ও পিপিই কেলেঙ্কারির পরে পরীক্ষা নিয়ে রিজেন্ট-জেকেজির প্রতারণার বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচনায় রয়েছে।
এসব কেলেঙ্কারি নিয়ে সমালোচনার মুখে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পদ ছেড়েছেন অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ।
পরদিন বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “শক্তিশালী এই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে দেশের হাসপাতাল, ক্লিনিকসহ অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানে কোনো অনিয়ম হয় কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে নতুন মহাপরিচালক কবে যোগ দেবেন- এ প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, “স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জনপ্রশাসন সচিবের নিকট পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। যেহেতু তিনি গ্রেড-১ ভুক্ত কর্মকর্তা ছিলেন তাই তার পদত্যাগপত্র গ্রহণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। জনপ্রশাসন থেকে ফাইল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এলে নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ নিয়ে কাজ করা হবে।”
নতুন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনের উদ্ভাবিত টিকার বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ কীভাবে হবে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শ করে সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এছাড়া অন্যান্য দেশে টিকা তৈরিতে অগ্রগতির দিকেও নজর রাখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশের জন্য যা ভালো হবে, সরকার সে রকম সিদ্ধান্তই নেবে।”