করোনাভাইরাস শনাক্তে ‘আরটি ল্যাম্প কিট’ সফল, দাবি ঢাবির গবেষকদের

পিসিআর মেশিন ছাড়াই সাধারণ ইনকিউবেটরে ‘আরটি-ল্যাম্প কোভিড-১৯ টেস্ট কিট’ ব্যবহার করে মাত্র ৩০-৪০ মিনিটে নতুন করোনাভাইরাস শনাক্ত করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2020, 08:42 PM
Updated : 7 June 2020, 08:45 PM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জেবা ইসলাম সেরাজের নেতৃত্বে গবেষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে এই কিট দিয়ে নমুনা পরীক্ষা করে এমন ফলাফল পেয়েছেন বলে বলে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ এবং ‘বায়োটেক কনসার্ন যৌথভাবে বিএসএমএমইউতে এই পরীক্ষাটির কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছে এবং পরবর্তীতে ওষুধ প্রশাসনের অনুমতির জন্য আবেদন করা হবে।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কেবল রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (আরটি-পিসিআর) পদ্ধতিতেই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার অনুমতি রয়েছে, যা বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও পিসিআর পদ্ধতিতে নমুনা পরীক্ষা চলছিল। তবে সম্প্রতি তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব নমুনা এসেছিল, সেগুলো ‘আরটি-ল্যাম্প কোভিড-১৯ টেস্ট’ করেও একই ফল পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

অধ্যাপক জেবা ইসলাম সেরাজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের দেশে আরটি-ল্যাম্প টেস্ট কিট ব্যবহার করে খুব দ্রুত সময়ে অনেক সুলভ মূল্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা সম্ভব।

“এখন আমরা যে আরটি-পিসিআর কিট ব্যবহার করছি, তা দ্বারা পরীক্ষা করতে ৯০ মিনিটের মতো সময় লাগছে। তাছাড়া আমাদের দেশে এই কিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫০০ টাকা। অন্যদিকে আরটি-ল্যাম্প টেস্ট কিট ব্যবহার করলে সময় লাগবে মাত্র ৩০-৪০ মিনিট। এতে খরচ হবে ৫০০-৬০০ টাকা মাত্র।”

আরটি-ল্যাম্প টেস্ট কিট ব্যবহারে ফল সঙ্গে সঙ্গেই জানানো সম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, “এর সুবিধা হচ্ছে টেস্ট করতে পিসিআর মেশিনের মতো জটিল যন্ত্র লাগে না।

“একটা সিম্পল ইনকিউবেটর দরকার হয়।আর কালার রিয়্যাকশন দ্বারা ফলাফল বোঝা যায়। নেগেটিভ স্যাম্পলের ক্ষেত্রে গোলাপি রঙ এবং পজিটিভ স্যাম্পলের ক্ষেত্রে হলুদ রঙ প্রদর্শন করে।

“আমাদের ঢাবির ল্যাবে আরটি-পিসিআর মেশিনের পরীক্ষায় যে স্যাম্পলগুলো পজিটিভ বা নেগেটিভ এসেছে, সেই স্যাম্পলগুলোর উপরই পরীক্ষা করে দেখেছি। এতে নেগেটিভ স্যাম্পলের ক্ষেত্রে গোলাপি এবং পজিটিভ স্যাম্পলের ক্ষেত্রে হলুদ রঙ প্রদর্শন করেছে, অর্থাৎ নির্ভুল রেজাল্ট দিয়েছে।”

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আরটি-ল্যাম্প কোভিড-১৯ টেস্ট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নিউ ইংল্যান্ড বায়োল্যাবস এবং বাংলাদেশে ‘বায়োটেক কনসার্ন’ এর একমাত্র পরিবেশক।