অ্যাভিগানের গবেষণায় আরও সময় লাগবে: ফুজি ফিল্ম

কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় অ্যাভিগান কতটা কার্যকর হতে পারে তা নিয়ে চলমান ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের’ সময় গড়াতে পারে জুলাই পর্যন্ত।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2020, 11:51 AM
Updated : 7 June 2020, 12:25 PM

রয়টার্স জানিয়েছে, অ্যাভিগানের উদ্ভাবক কোম্পানি জাপানের ফুজিফিল্মের তয়োমা ফার্মাসিউটিক্যালস রোববার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

জাপানের পত্রিকা নিক্কেই বিজনেস ডেইলিকে ফুজিফিল্মের এক মুখপাত্র বলেন, “এই ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়াল হয়ত জুলাই মাস পর্যন্ত চালাতে হতে পারে।”

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গত ৭ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য ২০ লাখ অ্যাভিগান ট্যাবলেট তৈরি করে বিভিন্ন দেশে বিনামূল্যে সরবরাহ করবে জাপান। প্রায় ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জরুরি বাজেটের একটি বড় অংশ থাকছে অ্যাভিগান উৎপাদনের জন্য।

মে মাসের শেষে এই ওষুধের অনুমোদন পাওয়ার আশা বিফলে যাওয়ার পর কথা ছিল জুনের মধ্যেই অ্যাভিগানের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ হবে। 

কিন্তু অনুমোদনের জন্য যত রোগীর ওপর এ ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ প্রয়োজন, তার ৭০ শতাংশের মত করতে পেরেছেন গবেষকরা।

আর যেহেতু ওষুধ প্রয়োগের পর এর কার্যকারিতার ফল হাতে পেতে ২৮ দিনের মত সময় লাগছে, তাই পুরো পরীক্ষা অন্তত জুলাই মাস পর্যন্ত গড়াবে বলে এক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে নিক্কেই বিজনেস ডেইলি।

ফুজিফিল্মের ওই মুখপাত্র বলেন, ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অগ্রগতির বিষয়ে আপাতত কোনো তথ্য তারা প্রকাশ করছেন না। তবে এ পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যা আরো বাড়িয়েছে ফুজিফিল্ম।

“আমাদের লক্ষ্য যতটা দ্রুত সময়ে সম্ভব এই পরীক্ষা শেষ করে আনা।”

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে থাকা এই ওষুধের কার্যকারিতা প্রমাণ হওয়ার আগেই এর ব্যবহার নিয়ে জাপানের বাইরে অনেক আলোচনা হচ্ছে।

কোভিড-১৯ ঠেকাতে প্রতিষেধক বানানোর চেষ্টায় সারাবিশ্বেই গবেষকরা কাজ করছেন। তবে এখনও কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে ছোঁয়াচে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭০ লাখ মানুষ; প্রাণ গেছে ৪ লাখের।