বিএসএমএমইউর চিকিৎসক-শিক্ষকদের গণমাধ্যমে কথা বলতে মানা

করোনাভাইরাস সঙ্কটের এই সময়ে বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান বিএসএমএমইউর চিকিৎসক ও শিক্ষকদের গণমাধ্যমে কথা বলতে বারণ করা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2020, 03:42 PM
Updated : 3 May 2020, 03:45 PM

অনুমতি ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে মানা করার পাশাপাশি সোশাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস না দিতেও অনুরোধ জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ।

শনিবার বিএসএমএমইউর রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল হান্নান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এখন থেকে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য ও বিবৃতি প্রদান না করার জন্য অনুরোধ করা হল।

“যে কোনো টেলিভিশন টকশোতে অংশগ্রহণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস/শেয়ার প্রদান করার ক্ষেত্রে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি যেন ক্ষুন্ন না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হল।”

বিএসএমএমইউর ল্যাবে বর্তমানে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা চলছে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত বহুল আলোচিত কোভিড-১৯ শনাক্ত করণ কিটের কার্যকারিতা যাচাইয়ের পরীক্ষাটিও চলছে বিএসএমএমইউতে।

এর মধ্যেই কথা বলতে বারণের প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনককান্তি বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এটা নতুন কিছু না। চাকরির বিধিমালা শিক্ষকদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হল মাত্র।

“আমাদের চাকুরির শৃঙ্খলাবিধিতে যে বিষয়গুলো আছে, সেটাই এখানে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

কোনো শিক্ষকের কোনো বক্তব্যে সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে কি না- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “এখনও এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভবিষ্যতে যাতে না হয় সেজন্য শিক্ষকদের মনে করিয়ে দেওয়া। শিক্ষকদের অনেকের তো বিষয়টি মনে থাকে না।”