যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক জটিলতায় পিছিয়ে গেল গণস্বাস্থ্যের কিট হস্তান্তর

কারখানায় বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক জটিলতার কারণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিটের নমুনা সরকারের কাছে হস্তান্তর পিছিয়ে গেছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 April 2020, 03:38 PM
Updated : 10 April 2020, 04:37 PM

শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকার ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিপ্তর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিএসএমএমইউ, আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সামনে নিজেদের উদ্ভাবিত কিটের নমুনা হস্তান্তরের আয়োজন করেছিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

ওই অনুষ্ঠানটি বাতিলের কথা শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের ফ্যাক্টরিতে ইলেক্ট্রো-ম্যাগানিক্যাল একটা ডিসরাপশন হয়েছে। এতে প্রোডাকশন হ্যাম্পার হয়েছে। আমরা যেসমস্ত স্যাম্পল তৈরি করেছিলাম, সেগুলো ডিসারপশনের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে।

“সেজন্য সরকারের কাছে স্যাম্পল প্রদানের অনুষ্ঠানটি কাল (শনিবার) হচ্ছে না। ওটা বাতিল করতে আমরা বাধ্য হয়েছি।”

এর আগে বিকালে কোভিড-১৯ ডট ব্লট প্রকল্পের সমন্বয়ক ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “অত্যন্ত দুঃখিত। কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট হস্তান্তর স্থগিত করা হয়েছে। নতুন তারিখ শিগগিরই জানানো হবে।”

বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়া নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে বাংলাদেশ এখন আমদানি করা কিটের উপর নির্ভর করছে। এর মধ্যেই দেশীয় প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তে কিট উদ্ভাবনের কথা জানান।

গত ১৯ মার্চ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে করোনাভাইরাসের কিট উৎপাদনের অনুমতি পায়। গত সাপ্তাহে চীন থেকে কাঁচামাল (রি-এজেন্ট) আসার পরপরই কিটের নমুনা তৈরির কাজ শুরু করে তারা।

ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে এই কাজে যুক্ত রয়েছেন ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমির উদ্দিন ও ড. ফিরোজ আহমেদ।

র‌্যাপিড ডট ব্লট নামের এই পদ্ধতি করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য খরচ তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ টাকায় হবে বলে জানিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

শেষ সময়ের জটিলতার বিষয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, “এটা কোনো ইন্টারন্যাল স্যাবোটাজ কি না, জানি না। সব কিছুই আমাদের প্রস্তুত ছিল। হঠাৎ ইলেক্ট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল এই দুর্যোগ হল।”

কবে নাগাদ সমস্যার সমাধান হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা কয়েকদিন পিছিয়ে গেলাম। দোয়া করবেন। সব কিছু ঠিকঠাক হলে অতিসত্ত্বর আমরা গণমাধ্যমকে জানাব।”