কিট তৈরি শুরু, এখন রক্তের নমুনা চায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র

কাঁচামাল (রি-এজেন্ট) হাতে পাওয়ার পর নভেল করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট তৈরি শুরু করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 April 2020, 08:07 AM
Updated : 6 April 2020, 08:28 AM
এখন সেই কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঁচজন রোগীর রক্তের নমুনা চাওয়া হয়েছে বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন।

সোমবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, চীন থেকে কাঁচামাল আসার পর গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসে কিট তৈরির কাজ চলছে।

“আমার এখন পাঁচজন কোভিড-১৯ রোগীর রক্ত দরকার পাঁচ সিসি করে। স্বাস্থ্য সচিব যদি এটা ব্যবস্থা করে দেন তাহলে আমরা আমাদের উদ্ভাবিত কিটের স্যাম্পল টেস্ট করতে পারি। আমরা চিঠি দিয়েছি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে, এখনও উত্তর পাইনি।”

জাফরুল্লাহ বলেন, মন্ত্রণালয় যদি মঙ্গলবারের মধ্যে রক্তের নমুনার ব্যবস্থা করে দেয়, তাহলে সরকারকে তারা ১১ এপ্রিল চূড়ান্ত স্যাম্পল দিতে পারবেন।

“আমরা আগামী শনিবার সকালে ধানমণ্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের কাছে স্যাম্পল হস্তান্তর করতে চাই। সেদিন ১১টি স্যাম্পল আমরা দেব। এই স্যাম্পলে ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফাইনাল অ্যাপ্রুভাল দিলে আমরা কিট বাজারে ছাড়তে পারব।”

সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে প্রথম দফায় ১০ হাজার এবং এপ্রিল মাসের মধ্যে এক লাখ কিট বাজারে ছাড়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি।

চীন থেকে জরুরি ভিত্তিতে রি-এজেন্ট আনার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও চীনের রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জাফরুল্লাহ।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রথমে যুক্তরাজ্য থেকে কাঁচামাল আনার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চীন থেকে গত শনিবার ওই রি-এজেন্ট দেশে এসে পৌঁছায়।

এই কিট উদ্ভাবন করেছেন গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিটিক্যালসের প্রধান বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীল। এই পদ্ধতিতে একজন রোগীর শরীর থেকে রক্ত নিয়ে পরীক্ষা করে বলা হবে কোভিড-১৯ পজিটিভ না নেগেটিভ।

তিন মাস আগে চীন থেকে ছড়িয়েপড়া নভেল করোনাভাইরাস এখন বিশ্বের ১৮৩ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অতি সংক্রামক এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ ছাড়িয়েছে, মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১১৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।