দেশে প্রতিদিন যক্ষ্মায় মারা যায় ১৩০ জন: মন্ত্রী

বাংলাদেশে প্রতিদিন যক্ষ্মায় ১৩০ জনের মৃত্যু হয় বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক জানিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2020, 06:24 PM
Updated : 1 March 2020, 06:26 PM

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উদ্যোগে বছরব্যাপী যক্ষ্মা নিয়ে সচেতনতা কার্যক্রমের উদ্বোধনীতে এ তথ্য জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ স্বাস্থ্য খাতে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছর। এদিক থেকে আমরা আশপাশের দেশ, এমনকি ভারত থেকেও এগিয়ে আছি।

“তবে বাংলাদেশে প্রতিদিন যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়ে ১৩০ জন মানুষ মারা যায়, বছরে ৪৭ হাজার। খুব কম রোগেই এত সংখ্যক মানুষ মারা যায়।”

যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, “বাংলাদেশে আমরা এখনও যেসব রোগ নির্মূল করতে পারিনি তার মধ্যে একটি হলো যক্ষ্মা। তবে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।

“এখন আর সেই কুসংস্কার নেই যে, যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই। এজন্য মুজিববর্ষের অঙ্গীকার যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার।”

এই রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা বাংলাদেশে আছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “যক্ষ্মা এখন আর মরণব্যাধি নয়, সময় মতো চিকিৎসা করালে এই রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়।”

তাই কারও দুই সপ্তাহের বেশি কাশি থাকলে কফ পরীক্ষার আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, “প্রতিটি জেলায় হাসপাতাল-ক্লিনিক রয়েছে যেখানে কফ পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা যায়। নিয়মিত ওষুধ খেলে এই রোগ নিরাময় হয়।”

‘৯০ শতাংশ’ যক্ষ্মা নিরাময় সম্ভব হয় বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। 

পাশাপাশি কারও সন্দেহ হলে কুসংস্কার ঝেড়ে ফেলে কফ পরীক্ষার আহ্বানও জানান তিনি।

জাহিদ মালেক বলেন, “এটা দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই করা উচিত। যাদের কাশি হয় তারা যেন পরীক্ষা করে নেয়। এটা শুধু নিজের জন্য নয়, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে যেন এটি ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্যও। এটা সংক্রামক।

“আক্রান্ত ব্যক্তি চিকিৎসা না নিলে সেটা পরিবারের অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।”

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ও সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ব্র্যাকের সৌজন্যে দুটি ভ্রাম্যমাণ যক্ষ্মা নির্ণয় কেন্দ্র উদ্বেোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বছরব্যাপী এ কর্মসূচি আয়োজনে সহায়তা করছে ইউএসএইড, ব্র্যাক ও উজ্জীবন।