শিশু সাংবাদিকতার জন্য বিশেষায়িত পৃথিবীর প্রথম বাংলা ওয়েবসাইট হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের লাইভে এসে বৃহস্পতিবার তিনি একথা জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম কার্যালয়ে ‘হাম-রুবেলা সম্পর্কে সচেতনতা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে হ্যালোর শিশু সাংবাদিকরা অংশ নেয়।
অধ্যাপক আজাদ বলেন, ১৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির ছাড়া বাকি দিনগুলোতে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে টিকা প্রদান চলবে। ১৮ মার্চ থেকে ২৪ মার্চ শুধু স্কুল-মাদরাসায় টিকা দেওয়া হবে। ২৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল স্কুলের বাইরে কমিউনিটিতে টিকা দেওয়া হবে।
৯ মাস বয়স থেকে ১০ বছর পর্যন্ত সব শিশুকে এই টিকা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সাধারণ সময়ে ৯ মাস এবং ১৫ মাসে দুটি হাম-রুবেলার টিকা দেওয়া হয়।
“কিন্তু এবারেরটি বিশেষ কর্মসূচি। তাই আগে টিকা নিলেও ১০ বছরের নিচে সব শিশুকে এই টিকা দিতে আমরা বলছি।”
তিন কোটি ৪০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার সরকারি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টিকাদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীদের কিছু দাবি-দাওয়া ছিল। দাবি যদি পূরণ না হলে তারা এই কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ার ঘোষণাও দেয়।
“যাইহোক আমরা তাদের দাবি-দাওয়া পূরণের আশ্বাস দিয়েছি। আমরা মনে করেছি ভালোভাবে প্রস্তুতি না নিয়ে যদি এই টিকাটা দিই, এক্ষেত্রে হয়ত অনেক শিশুই টিকা পাবে না, হয়ত টিকাটা সঠিকভাবে দেওয়া হবে না। এজন্য আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে চাইনি। তাই তারিখটা একটু পিছিয়ে দিয়েছি।”