চীনের একাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সের প্রধান ওয়াং চেনকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স অনেকের পরীক্ষার ফল ‘ফলস নেগেটিভ‘ আসার কথা জানিয়েছে।
তিনি চীনের টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “অসুস্থদের যারা নতুন ধরনের করোনাভাইরাসে সত্যিই আক্রান্ত, টেস্ট করে তাদের মধ্যে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশের পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে।
“এখনও অনেকের লালা পরীক্ষা করে ফলস নেগেটিভ রেজাল্ট পাওয়া যাচ্ছে। যার মানে সত্যিকার অর্থেই যতজন এন করোনাভাইরাস আক্রান্ত, তার অর্ধেকের ক্ষেত্রে পরীক্ষায় ধরা পড়েনি।”
যে প্রদেশের উহান শহর থেকে নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাস প্রথমে ছড়িয়েছে, সেই হুবাই এখন করোনাভাইরাস শনাক্তে সিটি স্ক্যান শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, এই পরীক্ষায় দ্রুত রোগ শনাক্ত সম্ভব।
মৃতের সংখ্যা সাতশ ছাড়াল
সার্সের চেয়ে ভয়াবহ হিসেবে দেখা দেওয়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সাতশ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
হুবাই প্রদেশে শুক্রবার আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বেশি হারে বেড়েছে। হুবেইর কর্মকর্তা শনিবার ওই প্রদেশে আরও ৮১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্যে ৬৭ জনই উহানের।
পুরো চীনে মৃতের সংখ্যা একদিনে ৮৬ জন বেড়ে ৭২২ জনে পৌঁছেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৭৭৪।
মৃতের সংখ্যা এই হারে বাড়লে কয়েকদিনেই তা সার্স ভাইরাসকে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০০২-০৩ সালে সার্স ভাইরাসে সারাবিশ্বে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
করোনাভাইরাসে এই পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে হংকং ও ফিলিপিন্সের দুজন বাদে বাকি সব চীনা নাগরিক। চীন বাদে ২৭টি দেশের ৩৩২ জনের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
এই সংক্রান্ত খবর