শুক্রবার জেনিভায় সংস্থার নির্বাহী পর্ষদের সভায় তিনি জানান, ডব্লিউএইচও বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে টেস্টিং কিটস, মাস্ক, গ্লাভস, রেসপিরেটর আর গাউন পাঠাচ্ছে।
“কিন্তু বিশ্ব এসব ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণের দীর্ঘমেয়াদী সঙ্কটে পড়তে যাচ্ছে, আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন।”
ডব্লিউএইচও মহা মহাপরিচালক জানান, সরবরাহ ব্যবস্থায় কোথায় কোথায় সমস্যা তৈরি হতে পারে, সে জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান বের করার পাশাপাশি অঞ্চলভেদে এসব উপকরণের সুসম সরবরাহ নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন তিনি।
তিনি বলেন, “গত দুই দিনে চীনে নতুন রোগীর সংখ্যা কিছু কমেছে। এটা ভালো লক্ষণ। তবে আমি সতর্ক করে বলতে চাই, এ সংখ্যা আবার বাড়তে পারে।”
পর্যদ সভায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে এই বৈঠকে নতুন এ করোনাভাইরাসের জন্য একটি যথাযথ নাম ঠিক করার ওপরও আলোচনা হয়।
সার্স ও মার্সের মত একই পরিবারের সদস্য এ ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণের বিষয়টি নজরে আসে গতবছর ডিসেম্বরের শেষে। চীনের উহান শহরের একটি সি ফুড মার্কেট থেকে ওই ভাইরাস ছড়াতে শুরু করে বলে সে সময় ধারণা করা হয়।
ডব্লিউএইচওর এপিডেমিওলজিস্ট মারিয়া ফ্যান কেরকোহফ বলেন, “নামের সঙ্গে যেন কোনো এলাকার নাম জুড়ে দেওয়া না হয়, সে বিষয়টাতে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন যে এখনও অনেক সংবাদমাধ্যম একে চায়না বা উহান ভাইরাস লিখে যাচ্ছে।
“এই ভাইরাসের সঙ্গে কোনো বিদ্বেষ যেন জড়িয়ে না যায়, সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চেয়েছি। আর সে কারণেই আপাতত ওই নামটি ঠিক করা হয়েছে।”
নভেল করোনাভাইরাস সাধারণ ফ্লুর মত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে, ছড়াতে পারে মানুষ থেকে মানুষে। সাধারণভাবে বেশিরভাগ রোগী সেরে উঠলেও ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে এ ভাইরাস ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
প্রাণঘাতী এ ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকায় গত ৩১ জানুয়ারি বৈশ্বিক সতর্কতা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের চীন থেকে সরিয়ে নিয়ে কোয়ারেন্টিন করে রাখে। তবে পরিস্থিতি এখনও ‘মহামারী’ ঘোষণার পর্যায়ে যায়নি বলে ডব্লিউএইচও।