বেবি পাউডারে দূষিত উপাদান, পণ্য তুলে নিচ্ছে জনসন অ্যান্ড জনসন

পরীক্ষায় আবারও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর উপাদান অ্যাজবেস্টসের উপস্থিতি পাওয়ায় জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে প্রায় ৩৩ হাজার বোতল বেবি পাউডার প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 19 Oct 2019, 08:22 AM
Updated : 19 Oct 2019, 08:22 AM

যুক্তরাষ্ট্রের হেল্থ রেগুলেটর কর্তৃপক্ষ আনলাইন থেকে কেনা এক বোতল বেবি পাউডার পরীক্ষা করে সেটিতে অ্যাজবেস্টস পাওয়ার পর দেশটির বৃহৎ এ ওষুধ কোম্পানি তাদের প্রধান পণ্য বেবি পাউডার বাজার থেকে তুলে নেওয়ার এ ঘোষণা দেয়।

পণ্য প্রত্যাহারের খবর প্রকাশের পর কোম্পানির শেয়ার ৬ শতাংশের বেশি পড়ে গেছে।

বেবি পাউডারসহ জনসনের ট্যালকম পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদন রয়েছে অভিযোগ তুলে ১৫ হাজারের বেশি ক্রেতা কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করেছেন।

গত বছর ওসব মামলার কয়েকটির রায়ে জনসন অ্যান্ড জনসনকে কোটি কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

তবে নিজেদের ট্যালকম পণ্যে ক্ষতিকর উপদান থাকার আশঙ্কায় এই প্রথম তারা বাজার থেকে পণ্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিল।

যুক্তরাষ্ট্রের হেল্থ রেগুলেটর থেকেও এই প্রথম বেবি পাউডারে দূষিত উপাদান থাকার কথা জানানো হলো।

শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে বাজার থেকে তাদের বেবি পাউডার তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় জনসন অ্যান্ড জনসন।

সেখানে কোম্পানির চিকিৎসা নিরাপত্তা সংস্থার ‘উইমেন্স হেল্থ’ বিভাগের প্রধান ডা. সুসান নিকোলসন বলেন, “আমাদের ট্যালকম পণ্যে অ্যাজবেস্টসের উপস্থিতি পাওয়া খুবই বিরল। এছাড়া পরীক্ষার যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে তাতেও গড়বড় আছে।”

একমাস আগেও ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যামিনিস্ট্রেশন তাদের ট্যালকম পণ্য পরীক্ষা করে অ্যাজবেস্টস না পাওয়ার কথা জানিয়েছিল বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় জনসন অ্যান্ড জনসন।

অন্য দিকে এফডিএ’র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, এ বছরের শুরু থেকে তারা ট্যালকম পণ্য পরীক্ষা করা শুরু করে। ওই পরীক্ষার সময় একটি লটের বেবি পাউডারে অ্যাজবেস্টস পাওয়া গেছে। কিন্তু দ্বিতীয় আরেকটি লটের পাউডারে দূষিত এ উপাদান পাওয়া যায়নি।

তবে তাদের পরীক্ষার ফলাফল সঠিক জানিয়ে এফডিএফ কর্তৃপক্ষ ভোক্তাদের জনসনের বেবি পাউডার ব্যবহার বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে।

অন্যদিকে জনসন কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা এফডিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে পরীক্ষায় কী ধরনের অ্যাজবেস্টস পাওয়া গেছে এবং দুই পরীক্ষার ফলাফল দুই রকম কেন হলো তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।