রেনিটিডিনের ভারতীয় দুই কোম্পানির কাঁচামাল আমদানি নিষিদ্ধ

রেনিটিডিন নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে এই ট্যাবলেট তৈরিতে ভারতের দুটি প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল আমদানি সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2019, 11:52 AM
Updated : 29 Sept 2019, 03:19 PM

ভারতের সারাকা ল্যাবরেটরিজ ও মেসার্স ডা. রেড্ডির  কাঁচামালে বাংলাদেশে তৈরি রেনিটিডিন ট্যাবলেটও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এতথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ওষুধ খাতের নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে বৈঠক করে সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সারাকা ল্যাবরেটরিজ ও ডা. রেড্ডির কাঁচামাল আমদানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই কাঁচামালে তৈরি ট্যাবলেটও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ওধুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে  মহাপরিচালক জানান, সাময়িক এই নিষেধাজ্ঞা কেবল ভারতের সারাকা ল্যাবরেটরিজ ও ডা. রেড্ডির কাঁচামালের উপর। অন্য উৎস থেকে আনা রেনিটিডির হাইড্রোক্লোরাইড আমদানিতে কোনো বাধা নেই।

তিনি বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ড্রাগ অ্যাডমিনস্ট্রেশন এটা (রেনিটিডিন) নিষিদ্ধ করেনি, কিংবা নিষিদ্ধের সুপারিশও করেনি। কোম্পানিগুলো স্বউদ্যোগেই ওষুধ বাজার থেকে তুলে নিচ্ছে।”

সারাকার কাঁচামাল আমদানি আপাতত বন্ধ রাখার পাশাপাশি আগে ওই কাঁচামালে উৎপাদিত ওষুধ ‘কোয়ারেন্টাইন’ করে রাখতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ এসব ওষুধ বিক্রি বা বিতরণ করা যাবে না।

বাংলাদেশের কতটি ওষুধ কোম্পানি ভারতের সারাকার কাঁচামালে রেনিটিডিন ট্যাবলেট তৈরি করছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। ডা. রেড্ডির কাঁচামাল সাধারণত বাংলাদেশে আসে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত সারাকা ল্যাবরেটরিজ বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল, স্পেনসহ তিন ডজনের মতো দেশে তাদের কাঁচামাল রপ্তানি করে।

অ্যাসিড নিঃসরণ প্রতিরোধসহ পেটের পীড়ার নানা উপসর্গের চিকিৎসায় বিশ্বজুড়ে বহুল প্রচলিত ওষুধ রেনিটিডিনের মধ্যে সম্ভাব্য ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান পাওয়ার পর কয়েকটি দেশ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পর বাংলাদেশ ভারতের কাঁচামাল আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল।

যুক্তরাষ্ট্র স্যান্ডোজের তৈরি রেনিটিডিন ক্যাপসুলের মধ্যে ‘এন-নিট্রোসডিমিথাইলামাইন (এনডিএমএ)’ নামে পরিবেশ দূষণজনিত উপাদানের উচ্চমাত্রার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর কোম্পানিটি তাদের এই ওষুধ বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনও ঘোষণা দিয়েছে, তারা ভারতে তৈরি তাদের রেনিটিডিন ট্যাবলেট বাজার থেকে তুলে নেবে।