গত রোববার শুরু হওয়া এই স্বাস্থ্য ক্যাম্পে গায়ে জ্বর নিয়ে আসা রোগীদের মধ্যে পাঁচজনের শরীরে ডেঙ্গুর লক্ষণ পাওয়া গেলেও পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাদের কারও ডেঙ্গু হয়নি।
টেলিনর হেলথের ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং ম্যানেজার আলিফ আল মো. সালাউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রথম দিনে ১৬০ জন বস্তিবাসী চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন ক্যাম্পে। তাদের মধ্যে তিনজনের শরীরের ‘ডেঙ্গুর লক্ষণ’ থাকায় তাদের হাসপাতালে পাঠান ক্যাম্পের চিকিৎসক।
দ্বিতীয় দিনে ১০০ শিশসহ ১৮০ জন বস্তিবাসী আসেন স্বাস্থ্য সেবা নিতে। তাদের মধ্যে দুজনের শরীরে ‘ডেঙ্গুর লক্ষণ’ পান চিকিৎসকরা।
ক্যাম্পের শেষ দিন মঙ্গলবেলা বেলা ১টা পর্যন্ত ৬০ জন বস্তিবাসী স্বাস্থ্য ক্যাম্পে আসেন। তৃতীয় দিন কারও মধ্যে ডেঙ্গুর ভাইরাস পাওয়া যায়নি।
“যাদের মধ্যে ডেঙ্গুর লক্ষণ ছিল বলে আমরা ধারণা করেছিলাম, হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা গেছে, তাদের কারও শরীরে ডেঙ্গুর ভাইরাস নেই।”
এই ক্যাম্পে রোগ পরীক্ষায় সহযোগিতা দিচ্ছে সাহাবউদ্দিন হাসপাতাল। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও টোকেন নিয়ে গেলে এই হাসপাতালে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো হয়েছে। রোগীদের মধ্যে কারও ডেঙ্গু শনাক্ত হলে তাকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সেবা দেবে এই ক্যাম্প।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমসহ আরও তিনটি গণমাধ্যমের সহযোগিতায় রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই স্বাস্থ্য ক্যাম্পে ডেঙ্গু শনাক্ত, সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি অন্যান্য রোগেও বিনামূল্যে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারছেন বস্তিবাসী।
স্বাস্থ্য ক্যাম্পে আসা রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়েও সচেতন করেছেন চিকিৎসকরা। ক্যাম্পে ডায়াবেটিস পরীক্ষার প্রয়োজনীয় কিটসও রাখা হয়েছে।
এই কার্যক্রমে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পরিবেশ নিয়েও। বস্তি এলাকায় বসতভিটার পাশে নর্দমা পরিচ্ছন্ন রাখা, ঝোঁপঝাড় পরিষ্কার রাখা, বিশুদ্ধ পানি পান করার বিষয়েও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
টেলিনর হেলথ জানিয়েছে, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি ও বিনা খরচে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দিতেই এই স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প শুরু হয়েছে।
টেলিনর গ্রুপের ডিজিটাল হেলথ সাবসিডিয়ারি টেলিনর হেলথের আয়োজনে কড়াইলের ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ’ এই কার্যক্রম মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সেবা মিলছে এখানে।