ই-সিগারেট পানে ‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম মৃত্যু’

যুক্তরাষ্ট্রে ই-সিগারেট পানে শ্বাসযন্ত্রে গুরুতর জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এটাই এ ধরনের মৃত্যুর প্রথম ঘটনা বলে জানান কর্মকর্তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2019, 08:40 AM
Updated : 24 August 2019, 09:17 AM

বিবিসি জানায়, ওই ব্যক্তি যু্ক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ছিলন। যদিও ইলিনয় কর্তৃপক্ষ তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি। তবে তার বয়স ১৭ থেকে ৩৮’র মধ্যে ছিল বলে জানান তারা।

যুক্তরাষ্ট্রে জুড়ে সম্প্রতি ফুসফুস জনিত নানা রোগে ভোগা মানুষের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে ই-সিগারেট পানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বলে মত স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের।

সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানায়, যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ই-সিগারেট পানের কারণে প্রায় দুইশ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

সিডিসি পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ই-সিগারেট পানে মারাত্মক ফুসফুস রোগে আক্রান্ত হওয়ার যে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে তাতে প্রথম এক জনের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা বেদনাহত।

“এই মৃত্যু ই-সিগারেট উৎপাদনের সঙ্গে মারাত্মক স্বস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার কথা বলছে। ই-সিগারেট পানের কারণে মানবদেহে ভিন্ন ভিন্ন নানা উপাদান প্রবেশ করছে, যেগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানি।”

শুক্রবার সিডিসি জানায়, ই-সিগারেট পানের কারণে অন্তত ১৯৩ জন মারাত্মক ফুসফুস জনিত জটিলতায় ভুগছেন। তাদের মধ্যে ২২ জনই ইলিনয়ে।

অথচ মাত্র দুই দিন আগে বুধবার তারা ১৫৩ জন আক্রন্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল। অর্থাৎ, দুইদিনে আরো প্রায় ৪০ জন রোগী বেড়েছে। যা সত্যিই উদ্বেগজনক।

এ সব রোগীদের যে ‍শারীরিক উপগর্স দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে কাশি, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা এবং কারো কারো ক্ষেত্রে বমি ও ডাইরিয়া হতেও দেখা যাচ্ছে।

এর আগে ই-সিগারেট পান করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আরো অন্তত দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাদের ক্ষেত্রে সিগারেট পানের সময় যন্ত্রটি বিস্ফোরিত হয় এবং তা থেকেই তাদের মৃত্যু হয়।