স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশনস অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ছয় হাজার ৭৩৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এর মধ্যে রাজধানীর ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার ৪১৯ জন রোগী রয়েছেন। ঢাকার বাইরের জেলাগুলোর হাসপাতালে রয়েছেন তিন হাজার ৩১৪ জন ডেঙ্গু রোগী।
১৮ অগাস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ছিলেন ৭ হাজার ১৬৮ জন। তার মধ্যে ঢাকায় ছিলেন ৩ হাজার ৬৬৮ জন এবং ঢাকার বাইরে ছিলেন সাড়ে ৩ হাজার জন।
১৭ অগাস্ট হাসপাতালে ছিলেন ৭ হাজার ৮৫৬ জন ডেঙ্গু রোগী। ১৬ অগাস্ট ছিলেন ৭ হাজার ৭১৬ জন, ১৫ অগাস্ট ছিলেন ৭ হাজার ৫৭০ জন, ১৪ অগাস্ট ছিলেন ৭ হাজার ৮৬৯ জন।
এ বছর বর্ষার শুরুতেই ঢাকায় দেখা দেয় এইডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ; তারপর তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরজুড়ে যত ডেঙ্গু রোগী ছিল, এবার অগাস্টের আগেই তা ছাড়িয়ে যায়।
ডেঙ্গু জ্বরে এই পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের ‘ডেথ রিভিউ’ প্রক্রিয়া শেষ করে নিশ্চিত করেছে। তবে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও জেলার চিকিৎসকদের কাছ থেকে অন্তত ১৭২ জনের মৃত্যুর তথ্য রয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশনস অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ৫৪ হাজার ৭৯৭ জন। অগাস্ট মাসের ১৮ দিনেই ৩৬ হাজার ৩৩৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ হাজার ৬১৫ জন ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর আগে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৬০ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৪৬০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু রাজধানীতে ৭৫৬ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতোলে ভর্তি হয়েছেন।
রাজধানী বাদে ঢাকা বিভাগে ২১৯ জন, বরিশাল বিভাগে ১৫৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫২ জন, খুলনা বিভাগে ১৪৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৯৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৬ জন, রংপুর বিভাগে ৩১ জন এবং সিলেট বিভাগে ১৫ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।