ইবোলা সংকট: কঙ্গো সীমান্ত বন্ধ করেছে রুয়ান্ডা

ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর শহর গোমার সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে রুয়ান্ডা।

>>রয়টার্স
Published : 1 August 2019, 01:38 PM
Updated : 1 August 2019, 01:38 PM

গোমায় ইবোলায় দুইজনের মৃত্যুর পর তৃতীয় আরেকজন সংক্রমিত হওয়ার খবর এলে বৃহস্পতিবার সেখানে সব মানুষের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেবল রুয়ান্ডা ছেড়ে যাওয়া কঙ্গোর নাগরিকদের সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে।

কঙ্গোয় গতবছর ইবোলায় ১৮শ’র বেশি মানুষ মারা গেছে। আর কঙ্গোর জনবহুল সীমান্ত শহর গোমায় গতমাসে এ ভাইরাস সংক্রমণে দুইজনের মৃত্যু হয়।

এরপর কঙ্গোর কর্মকর্তারা এক ইবোলা রোগীর মেয়ে এ ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন। গোমায় ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঘটনা এটি।

কঙ্গোয় ইবোলা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অন্তত ২ হাজার ৭শ’ মানুষ এ ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় প্রতিদিনই নতুন করে প্রায় ১২ জনের ইবোলা আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে।

ফলে অকারণে মানুষজনের গোমায় যাতায়াত এড়াতে শহরটির সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুয়ান্ডার পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী এলাকা রুবাভুর মেয়র গিলবার্ট হাবায়ারিমানা।

বিবিসি’ কে তিনি বলেন, “আমরা নিবিড়ভাবে গোমার পরিস্থিতি লক্ষ্য রাখছি। পরিস্থিতির উন্নতি হলে সীমান্ত যে কোনো সময় খুলে দেওয়া যেতে পারে।”

জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে কঙ্গোর গোমায় প্রথম ইবোলা সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়ার পর ডব্লিউএইচও এ রোগের প্রাদুর্ভাবকে আন্তর্জাতিকভাবে জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করে।

তবে সংস্থাটির মহাপরিচালক তখন সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, এ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো দেশ যেন সীমান্ত বন্ধ না করে কিংবা ভ্রমণ বা বাণিজ্যে কড়াকড়ি না করে।

এখন রুয়ান্ডা কঙ্গো সীমান্ত বন্ধ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই পরামর্শের বিরুদ্ধে গেছে বলে অভিযোগ করে এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে কঙ্গো কর্তৃপক্ষ।

গোমায় ধরা পড়া প্রথম ইবোলা সংক্রমণের সঙ্গে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ইবোলা সংক্রমণের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।