সেরেব্রাল পলসি প্রতিরোধে ‘হোপ’ এর সঙ্গী ‘হেলথ অ্যান্ড হোপ’

সেরেব্রাল পলসির মতো প্রতিবন্ধিতা দূর করতে এক কর্মসূচিতে এক হয়েছে ‘হোপ ফর সেরেব্রাল পলসি’ ও বেসরকারি হাসপাতাল ‘হেলথ অ্যান্ড হোপ’; এই ধরনের জটিলতার যারা ভুগছেন, এই কর্মসূচির আওতায় তাদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2019, 07:05 PM
Updated : 18 March 2019, 07:30 PM

দুই বছর আগে যৌথ আয়োজনে যাত্রা শুরুর পর এই পর্যন্ত চারটি কর্মসূচি পালিত হয়েছে, সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত ক্যাম্পে আটজনকে সেবা দেওয়া হয় বলে হেলথ অ্যান্ড হোপ জানিয়েছে।

চিকিৎসকরা বলেন, গর্ভাবস্থা থেকে শুরু করে জন্মের পর তিন বছর সময়টাতে মস্তিষ্কের বিকাশ কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হলে শিশু সেরেব্রাল পলসিতে আক্রান্ত হতে পারে। এতে আক্রান্তরা নানা ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার হন।

বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া প্রতি এক হাজার শিশুর মধ্যে ৩.৭টি সেরেব্রাল পলসিতে আক্রান্ত বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

সঠিকভাবে চিকিৎসা হলে সেরেব্রাল পলসিতে আক্রান্ত শিশুরা সক্ষম হয়ে উঠতে পারে।

সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রতিশ্রুতি থাকলেও এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রয়াসেই কর্মসূচি গ্রহণ বলে জানিয়েছে ‘হেলথ অ্যান্ড হোপ’।

তাদের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কর্মসূচির আওতায় সেরেব্রাল পলসিতে আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা, নির্দিষ্ট সংখ্যক রোগীর অস্ত্রোপচারও হচ্ছে বিনামূল্যে।

২০১৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হোপ ফর সেরেব্রাল পলসির যাত্রা শুরুর দিনই সেরেব্রাল পলসির নয়জন রোগীকে সেবা দেওয়া হয়েছিল।

ওই বছরের ২০ নভেম্বর হোপ ফর সেরেব্রাল পলসি’র প্রথম রোগী ছয় বছর বয়সী টাঙ্গাইলের এক স্কৃলছাত্রীর ‘সিঙ্গেল ইভেন্ট মাল্টি লেভেল রিলিজ’ অস্ত্রোপচার করা হয়।

ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর ‘দ্বিতীয় ক্যাম্প’ এ ছয়জন রোগী সেবা নেন। ভোলার ১১ বছর বয়সী এক শিশুর অস্ত্রোপচার হয়।

২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি হয় তৃতীয় ক্যাম্প। তারপর কুমিল্লার এক শিশুর হয় অস্ত্রোপচার। ওই কর্মসূচিতে অস্ত্রোপচার হয় পাবনার আরেক শিশুরও।

 

গত ১৩ মার্চ ‘চতুর্থ ক্যাম্প’ এ সেবা নেন আটজন রোগী।

এই কর্মসূচিতে চিকিৎসকদের মধ্যে যুক্ত আছেন এম এইচ চৌধুরী লেলিন, সারওয়ার ইবনে সালাম, অধ্যাপক ওয়াহিদা খানম, শহিদুল আলম ববি, শিবেন্দু ও এস এম দাউদ ইসলাম শাহান, মো. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।