যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা জিম ম্যাককেন্টস মধ্যবয়সে সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে নিয়মিত ‘গ্রিন টি’ ক্যাপসুল খাওয়া শুরু করেন। যা তাকে এখন জরুরি ভিত্তিতে যকৃৎ প্রতিস্থাপণের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
সেদিন ছিল ম্যাককেন্টসের ছোট ছেলের হাইস্কুল গ্রাজুয়েশনের দিন। দিনটি হতে পারতো তার জীবনের সবচেয়ে আনন্দময় দিন। টেক্সাসের ডালাস ইউনিভার্সিটি অডিটোরিয়ামে স্ত্রী ক্যাথলিনের সঙ্গে পাশাপাশি চেয়ারে বসে ছিলেন তিনি।
হঠাৎ করেই তার স্ত্রী প্রশ্ন করেন, “তুমি ঠিক আছো?”
ম্যাককেন্টস বলেন, “হ্যাঁ ঠিক আছি। কেন?”
স্ত্রী, “তোমার মুখ হলুদ হয়ে আছে, চোখ হলুদ হয়ে আছে, তোমাকে দেখতে ভয়ঙ্কর লাগছে।”
ম্যাককেন্টস, “আমি আয়নায় নিজেকে দেখে ভয় পেয়ে যাই।”
৫০ বছরের ম্যাককেন্টস তখন ওজন কমিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য জোর চেষ্টা করছেন। বেশি করে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রতি মনযোগী হয়েছেন, নিয়মিত ব্যায়াম করছেন।
তিনি বলেন, “৫৯ বছর বয়সে আমার বাবার ‘হার্ট অ্যাটাক’ হয়েছিল এবং তিনি আর সুস্থ হয়ে ওঠেননি। যে কারণে তিনি আমাদের সঙ্গে খুব বেশি সময় থাকতে পারেননি।
ছেলের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরপরই ম্যাককেন্টসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।চিকিৎসকরা তার যকৃতে সংক্রমণ চিহ্নিত করেন; যা সাধারণত অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে হয়।
ম্যাককেন্টস বলেন, “গত ৩০ বছরে আমি গড়ে বছরে বড়জোর ছয় ক্যান বিয়ার পান করেছি, এমনকি ওয়াইনও পান করিনি। তাই মদ আমার স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলার কথা না।”
ওষুধের প্রভাবে তার যকৃৎ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও তিনি উড়িয়ে দেন। বলেন, তিনি এই সময়ে কোনো ওষুধ সেবন করেননি বা ধূমপান করেন না।
তিনি বলেন, হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী শোনার পর তিনি গ্রিন টি সাপ্লিমেন্ট নিতে শুরু করেন।
গত কয়েক বছরে ‘গ্রিন টি সাপ্লিমেন্ট’ ক্যাপসুল স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
অসুস্থ হওয়ার দুই/তিন মাস আগে থেকে ম্যাককেন্টস গ্রিন টি সাপ্লিমেন্ট ক্যাপসুল খেতে শুরু করেন।
তার চিকিৎসা প্রতিবেদনে যকৃতের সংক্রমণের কারণ হিসেবে গ্রিন টি সাপ্লিমেন্টকে দায়ী করা হয়েছে।
“এটা শুনে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ, আমি আগে শুধু এর ভালো দিকের কথা শুনেছিলাম। আমি এর কোনো ক্ষতিকর প্রভাবের কথা জানতাম না।”
অসুস্থ হওয়ার মাত্র তিন সপ্তাহ পর ম্যাককেন্টসের চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত যকৃৎ প্রতিস্থাপণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
“চিকিৎসকরা বলেন, আমার হাতে কয়েক মাস নয় বরং কয়েক দিন সময় আছে।”