তামাক আইন অমান্য করে সিগারেটের বিজ্ঞাপনে উদ্বেগ

রাজধানীতে সিগারেটের বিক্রয় কেন্দ্র সুসজ্জিতকরণ এবং সিগারেট বিক্রির জন্য এর প্যাকেটের আদলে তৈরি করা ‘বক্স বিক্রয় কেন্দ্র’ দেখা যাওয়ায় এতে তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন ও তামাক আইন অমান্য হচ্ছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2018, 06:39 PM
Updated : 26 August 2018, 06:39 PM

বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট- বাটা, প্রগতির জন্য জ্ঞান- প্রজ্ঞা এবং অ্যান্টি-টোবাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স- আত্মা পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, রোববার সকালে একটি সিগারেট কোম্পানির প্রতিনিধিরা ‘স্টার নিও’ ব্র্যান্ডের সিগারেটের বিজ্ঞাপন প্রচারের উদ্দেশ্যে রাজধানীর লালমাটিয়া ডি ব্লকের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর সুসজ্জিত করে।

“তারা সুসজ্জিত করার পাশাপাশি এ সকল কার্যক্রমের দৃশ্য শ্যুটিং ইউনিটের মাধ্যমে ধারণ করায় ‍পুরো এলাকায় সাড়া ফেলে দেয়। একই সঙ্গে পিকআপ ভ্যানে করে এই প্রতিনিধি দলটি সিগারেটের প্যাকেটের মত দেখতে বক্স বিক্রয় কেন্দ্রগুলোও বিভিন্ন পয়েন্টে বসিয়ে দেওয়ার কাজটি করে।”

যে দোকানটিকে সুসজ্জিত এবং যে সব এলাকায় এই বক্সগুলো বসানো হয়েছে তার আশেপাশে বিভিন্ন স্কুল ও কোচিং সেন্টার থাকার কথা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, কোম্পানিগুলো মূলত তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে আসক্ত করতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে এ ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছে।

“এ ধরনের প্রচারণা ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন (সংশোধন) ২০১৩ এর ৫ এর ক এবং ছ ধারা অনুযায়ী নিষিদ্ধ।”

এই দুটি ধারার মধ্যে ‘ক’ ধারায় বলা হয়েছে, “প্রিন্ট বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায়, বাংলাদেশে প্রকাশিত কোনো বই, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, পোস্টার, ছাপানো কাগজ, বিলবোর্ড বা সাইনবোর্ডে বা অন্য কোনোভাবে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করিবেন না বা করাইবেন না।”

‘ছ’ ধারায় বলা হয়েছে, “তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে যে কোনও উপায়ে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করিবেন না বা করাইবেন না।”

এসব ধারা অমান্য করলে আইনে অনূর্ধ্ব তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার  বিধান রয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

আইন অমান্য করে এ ধরনের প্রচারণা অব্যাহত থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করে তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো।