এতে বলা হয়, লিচু বাগানে ‘মাত্রাতিরিক্ত ও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে’ প্রয়োগ করা কীটনাশক এবং অন্যান্য রাসায়নিকে একিউট এনসেফালিটিস সিনড্রোম (এইএস) ঘটতে পারে, যাতে মস্তিষ্ক ফুলে- প্রদাহে মৃত্যু হতে পারে।
এসব ঘটনায় মৃত শিশুদের রক্ত ও লিচু পরীক্ষায় বিষাক্ত কীটনাশকের অস্তিত্ব পাওয়ার কথা বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) গবেষকরাও জানিয়েছিলেন।
নতুন এই গবেষণায় বলা হয়, দিনাজপুরের ওই সব লিচু বাগানে এনডোসালফানসহ বিভিন্ন শক্তিশালী কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছিল। বিষক্রিয়ায় মারা যাওয়া শিশুদের অনেকে নিয়মিত এসব লিচু বাগানে খেলাধুলা করত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে এনডোসালফান ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ গুটিকয়েক দেশে সীমিত আকারে এটির ব্যবহার অনুমোদিত ছিল। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রেও ওই কীটনাশক নিষিদ্ধ হয়।
“তাদের (গবেষক) কাছে সর্বশেষ তথ্য নাও থাকতে পারে।”
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, সচেতনতার অভাবে বাংলাদেশের কৃষকদের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের প্রবণতা রয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য সমস্যা এড়াতে কীটনাশক প্রয়োগ ও ফল আহরণের মধ্যে যে সময়ের ব্যবধান থাকতে হয় সে বিষয়ে তাদের ধারণা নেই।
ভারতেও লিচু বাগানের কাছাকাছি এলাকায় একইভাবে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাকৃতিকভাবে লিচুর বীজ ও শ্বাসে একটি বিষাক্ত উপাদান তৈরি হয়, যাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
“এসব মৃত্যুর ঘটনা এমন এক সময়ে হয়েছে যখন বাংলাদেশে লিচুর ফলন হয় এবং দেশজুড়েই তা মানুষজন খায়। যদি বীজই এর জন্য দায়ী হত, তাহলে সেটি একটি নির্দিষ্ট এলাকায় আটকে না থেকে পুরো দেশেই ছড়িয়ে পড়ত।”