চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে খবর সঠিক নয়: আইইডিসিআর

চিকুনগুনিয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যমের খবর নাকচ করে সরকারের রোগ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইইডিসিআর বলছে, মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 July 2017, 07:08 PM
Updated : 9 July 2017, 07:14 PM

রোববার সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতি ১১ জনের একজন এই রোগে ভুগছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয়।

টেলিফোনভিত্তিক তাদের এক অসম্পূর্ণ জরিপ ধরে এই প্রতিবেদন করা হয়েছে থাকতে বলে মনে করছে আইইডিসিআর।

ওই জরিপে টেলিফোনে ৪ হাজার ৭৭৫ জনের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৫৭ জন জ্বরে আক্রান্ত ও গিঁটে ব্যথায় ভোগার (চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ) কথা জানিয়েছেন।

তবে তাদের চিকুনগুনিয়া হয়েছে কি না সে বিষয়ে পরবর্তীতে পরীক্ষা করা হয়নি। আইইডিসিআর বলছে, ওই জরিপ এখনও চলছে, তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে।

“তাই ওই জরিপের ভিত্তিতে কারও কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া উচিত নয়।”

শনিবার পর্যন্ত ল্যাবরেটরিতে নিশ্চিত চিকুনগুনিয়া রোগীর সংখ্যা ৫৬৬ জন বলে আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটের তথ্য।

চলতি বর্ষা মওসুমের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর ঢাকার ২৩টি এলাকাকে এ রোগের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে আইইডিসিআর।

এ বিষয়ে একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট রোববার চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।

এডিস প্রজাতির এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস এলবোপিকটাস মশার মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া রোগের সংক্রমণ ঘটে।

ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসও এই মশার মাধ্যমে ছড়ায় এবং রোগের লক্ষণ প্রায় একই রকম। এ ধরনের মশা সাধারণত ভোর বেলা অথবা সন্ধ্যায় কামড়ায়। একটি পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে মশার মাধ্যমে অন্যদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকুনগুনিয়া হলে শরীরের গিটে গিটে ব্যথার পাশাপাশি মাথা কিংবা মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীরে ঠাণ্ডা অনুভূতি, চামড়ায় লালচে দানা, বমি বমি ভাব হতে পারে।

চিকুনগুনিয়া পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা না করে জ্বর হলে প্যারাসিটামল সেবন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

ঘরের ভেতরে অর্ধস্বচ্ছ পানি, ফুলের টব, ফেলে রাখা কৌটা বা বোতল, পানির ট্যাংক, ছাদে জমে থাকা পানি, পরিত্যক্ত টায়ার, আবর্জনার স্তুপ বা ডাবের খোসার ভেতরেও জন্ম নিতে পারে এডিস মশা। তাই বাড়ির ভিতরে, বাড়ির ছাদে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।