গবেষকদের দাবি, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ (৬১ শতাংশ) মানুষের ইবোলা সংক্রমণের জন্য দায়ী মাত্র ৩ শতাংশ রোগী। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের থেকেই ‘ইবোলা সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে’।
কি কারণে এটি হয়েছে, গবেষকরা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। তাদের আশা, সে রহস্য উদ্ধার করা গেলে ভবিষ্যতে আবার ইবোলার প্রাদুর্ভাব হলে তা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
২০১৪-১৫ সালে পশ্চিম আফ্রিকায় (মূলত: সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া ও গিনিতে) ইবোলার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব ঘটে। ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার ৩শ’ মানুষ, আক্রান্ত হয় ২৮ হাজার ৬শ’রও বেশি মানুষ।
গবেষকরা সিয়েরা লিওনের রাজধানী ফ্রিটাউনে গবেষণা চালান বলে জানিয়েছে বিবিসি।
গবেষকদের একজন ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক স্টেভেন রিলেই বিবিসি’কে বলেন, “আক্রান্ত বেশির ভাগ মানুষই কম সময়ের জন্য সংক্রমিত ছিল এবং তাদের কাছ থেকে দ্বিতীয় আরেক ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার হার কম ছিল। অন্যদিকে, অল্প কয়েকজন দীর্ঘ সময় সংক্রমিত থাকে এবং তাদের কাছ থেকেও আরও অনেকে সংক্রমিত হয়।”
“কি ঘটেছিল, এ গবেষণায় খুব সম্ভবত এর সঠিক বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। আমার মতে, মানব আচরণ দিয়ে এর কারণ ব্যাখ্যা করা সম্ভব। এটি শুধু কে আক্রান্ত হয়েছে তা নিয়ে নয় বরং তার চারপাশের মানুষদের বিষয়ও বটে।”
‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স’ এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ পায়।