রোববার ব্র্যাক ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ভিশনস্প্রিংয়ের যৌথ আয়োজনে মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
‘১০ লাখ চশমা: দৃষ্টি হোক উজ্জ্বল’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহা পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এএইচএম এনায়েত হোসেন বলেন, অনেক সময় ইচ্ছা থাকলেও সরকারের পক্ষে দেশের হাওর-বাওর, পাহাড় ও চরাঞ্চলে ক্ষীণদৃষ্টির মানুষের সহায়তায় কাজ করা সম্ভব হয় না।
“ব্র্যাকসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ওইসব অঞ্চলে কাজ করে বলে তাদের পক্ষে মানুষকে সেবা দেওয়া সহজ হয়। তাই একটি নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকে সরকারের ‘ন্যাশনাল আই কেয়ার’ প্রকল্প এ ধরনের কাজে আইনগত অনুমোদনসহ অন্যান্য সহযোগিতা দিয়ে আসছে।”
তিনি বলেন, চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পাশাপাশি ‘ফলোআপ’ জরুরি, যা স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে। ন্যাশনাল আই কেয়ারের সঙ্গে বসে এসব বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটি নীতিমালা তৈরি করে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তাদের মধ্যে ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮০ জন ক্ষীণদৃষ্টির সমস্যায় ভুগছেন বলে চিহ্নিত করা হয়। এরপর তাদের মধ্যে বিতরণ করা হয় ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৭৭৭টি চশমা।
ন্যাশনাল আই কেয়ারের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এ ধরনের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
মাঠ পর্যায়ে ব্র্যাকের প্রায় ৩২ হাজার ৯১৭ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যসেবিকা চশমা বিতরণের পাশাপাশি চক্ষু পরীক্ষা, চিকিৎসার সুযোগ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখায় তাদের ২৪ জনকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হয়।
অন্যদের মধ্যে ব্র্যাকের ভাইস চেয়ারপারসন ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির পরিচালক ডা. কাওসার আফসানা, ভিশনস্প্রিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জর্দান ক্যাসালো ও প্রেসিডেন্ট ইলা আর গুডইউন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।