চলতি মাসের শুরুতে বগুড়ায় কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে আদালতের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করে কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মীরা।
ক্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বগুড়ার বেসরকারি দুটি হাসপাতালে চিকিৎসকের নামে তার সহকারীর রোগী দেখা, চিকিৎসকের সহকারীর হাতে শল্যচিকিৎসা করানো, রোগ নির্ণয় পরীক্ষার ফলাফলে চিকিৎসকের স্বাক্ষর না থাকাসহ নানা অনিয়ম দেখেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ফলে দোষী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এর প্রতিবাদে বগুড়া শহরের তিন শতাধিক হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিকরা রোগী বের করে দিয়ে ধর্মঘট, সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
তাদের এই কর্মসূচির তীব্র নিন্দা করে ক্যাব বলছে, এভাবে রোগীদের জিম্মি করে ব্যবসা পরিচালনার ব্যবস্থা বন্ধ করার উদ্যোগ সরকারকে অতি শিগগিরই নিতে হবে।
“নজরদারির অভাবে সারাদেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে মানহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
“সারাদেশে এসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ক্যাব-এর প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”