ব্যস্ত সড়কের কাছে স্মৃতিভ্রমের ঝুঁকি বেশি, গবেষণার তথ্য

ব্যস্ত সড়কের কাছে বসবাসকারীদের অধিকাংশই স্মৃতিভ্রমজনিত (ডিমেনশিয়া) সমস্যায় ভোগেন বলে একটি গবেষণায় প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2017, 07:20 AM
Updated : 5 Jan 2017, 07:20 AM

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নাল ‘ল্যানসেট’ এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাস্ত সড়কের বায়ু দূষণ ও যানবাহনের শব্দ মানুষের মস্তিষ্ককে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

২০০১ থেকে ২০১২ পর‌্যন্ত কানাডার অন্টারিও প্রদেশের ২০ লাখ ব্যক্তির উপর ওই গবেষণা চালানো হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এ সময়ের মধ্যে এলাকাটির দুই লাখ ৪৩ হাজার ৬১১ জনের স্মৃতিভ্রম ধরা পড়ে।

গবেষকরা দেখেছেন, প্রান্তিক এলাকা থেকে যতই ব্যস্ত সড়কের দিকে যাওয়া যায় ডিমেনসিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে- প্রধান প্রধান সড়কগুলোর ৩০০ মিটার দূরে থাকা কারও চেয়ে ৫০ মিটারের মধ্যে বসবাসকারীদের ডিমেনসিয়ার ঝুঁকি ৭ শতাংশ বেশি থাকে; ৫০ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে ৪ শতাংশ; আর ১০০ থেকে ২০০ মিটারের মধ্যে ঝুঁকি বেশি থাকে ২ শতাংশ।

তবে এটিই স্মৃতিভ্রমের একমাত্র কারণ কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বর্তমানে সারাবিশ্বে পাঁচ কোটিরও বেশি ডিমেনসিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি আছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।  

গবেষকদের ধারণা, উচ্চ শব্দ, অতিমসৃণ কণা, নাইট্রোজেন অক্সাইড ও টায়ারের কণা মানুষের মস্তিষ্কের কার‌্যক্ষমতা কমাতে ভূমিকা রাখে।

গবেষণা দলের একজন অন্টারিও পাবলিক হেলথের হং চেন বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়নের কারণে অনেককেই প্রধান সড়কগুলোর আশপাশে বসবাস করতে হচ্ছে।

“যে কারণে রাস্তার কোলাহলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডিমেনসিয়া। সড়কের কাছাকাছি থাকার কারণে যদি এ ধরনের সামান্য ক্ষতিও হয় তাহলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ঝুঁকির পথ উন্মুক্ত করবে।”

অবশ্য বিভিন্ন এলাকার গাড়ি চলাচলের ধরণ, বায়ু দূষণ ও কোলাহল নিয়ে আরও গবেষণার পরই স্মৃতিভ্রমের সঙ্গে ব্যস্ত সড়কের সম্পর্ক নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।

এ গবেষণাকে ‘গুরুত্বপূর্ণ দলিল’ বলেছেন যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর হেলথি রিসার্চের পরিচালক মার্টিন রসর।

অন্যদিকে ইউনিভার্সিটি অব নটিংহ্যামের ডিমেনসিয়া সেন্টারের পরিচালক টম ডেনিং একে ‘আকর্ষণীয়’ বলেছেন।

স্মৃতিভ্রমের ঝুঁকি কমাতে তিনি ধুমপান ত্যাগ, নিয়মিত ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।