দক্ষিণ কোরিয়ায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
Published : 22 Mar 2016, 09:49 AM
আক্রান্ত ব্যক্তি সম্প্রতি ব্রাজিল সফর করে এসেছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বিবিসি বলছে, দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার ৪৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে পরীক্ষার পর জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ সনাক্ত করা হয়। তাকে গোয়ানজু শহরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে রাখা হয়েছে এবং বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর তার চলাফেরা অনুসরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞানীরা ব্রাজিলের গর্ভবতী নারীদের উপর গবেষণা করে জানিয়েছেন, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী নারীর অনাগত সন্তান মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
যদিও বিষয়টি এখনও পরীক্ষায় প্রমাণিত নয়। কিন্তু গেল বছর ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের প্রদুর্ভাবের পর দেশটিতে আশঙ্কাজনক হারে মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত শিশুর জন্ম হয়েছে।
মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত শিশুর মস্তিষ্কের গঠন সম্পূর্ণরূপে হয় না। ফলে তাদের মাথা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক ছোট থাকে।
এই সব শিশু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়। এমনকি তাদের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
সাধারণত এডিস মশার মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়ায়।
সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকার পর জিকা ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বময় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।