সোমবার নির্বাহী কমিটির বৈঠকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন তিনি; শ্রোতাদের কাছে যিনি ম্যাক নামে অধিক পরিচিত।
“নির্বাহী কমিটির বৈঠকে ওদের (সভাপতি) বলেছি, নৈতিক কারণে আমি নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে আর থাকছি না। বর্তমান কমিটিতে তো থাকছি-ই না; নতুন কোনো কমিটিতেও আমার কোনো পদ দরকার নেই।”
১৯৮৭ সালে ফিডব্যাক, সোলস, রেনেসাঁ, মাইলসসহ ১৪টি ব্যান্ডের সমন্বয়ে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করার পর ১৯৮৮ সালে প্রথম সভাপতির দায়িত্ব পান তৎকালীন ফিডব্যাক’র লিড ভোকালিস্ট মাকসুদ; বর্তমান কমিটিতে সবশেষ ১৫ বছর ধরে নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন বলে জানান তিনি।
“দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি এই নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে ছিলাম; এই কারণে আমি জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চাইছি।”
পদত্যাগের কারণ হিসেবে ম্যাক বলেন, “নৈতিক বিবেচনায় বেআইনি, অবৈধ ও নীতিলঙ্ঘনকারী কিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।“
“হয়তো আমরা এতোদিন যাবত অনেক নিষ্ঠা, উৎসাহ এবং বলতে গেলে অনেকটা ঐচ্ছিকভাবেই কাজ করে এসেছি কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমানে কার্যকরি সদস্য হিসাবে কাজ করার কোন আইনগত ভিত্তি আমাদের নেই।”
“আমি কিছুই জানি না। দেখতে হবে। কালকে আমাদের মিটিংও আছে।”
তবে সোমবারের নির্বাহী কমিটির বৈঠকের ‘মিনিটস অব মিটিং’ এসেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে; সেই বৈঠকে নির্বাহী কমিটির ৮টি ব্যান্ডের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, “মাকসুদুল হক তার ব্যস্ততম শিডিউলের কারণে নতুন কমিটিতে থাকতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেছেন, যে কোনো সময় বামবার সহায়তায় থাকবেন।”
অন্যদিকে মাকসুদ বলছেন, ব্যস্ত শিডিউলের বিষয়টি বানোয়াট ও মিথ্যা; আমি কখনও এই ধরনের কথা বলিনি। আমি বলেছি, নৈতিক কারণে নির্বাহী কমিটির সঙ্গে থাকছি না।
এর আগে গত ৫ মার্চ সভাপতি ও সহ-সভাপতির কাছে বামবার নির্বাচন নিয়ে ১২টি প্রস্তাব তুলে ধরে একটি চিঠি পাঠান বলে জানান তিনি।
‘বামবা গঠনতন্ত্র ও বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু কথা’ শীর্ষক চিঠির একটি অনুলিপি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছেও এসেছে।
সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমানে কার্যকরি সদস্য হিসাবে কাজ করার কোন আইনগত ভিত্তি না থাকার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি চিঠিতে লেখেন, “নির্বাহী কমিটির সদস্যদের পদত্যাগ করে সুষ্ঠু ও পক্ষপাতহীন নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির তাগিদ দেন; যেখানে ‘ভয়, সুবিধা, দুর্নীতি কিংবা কারচুপির’ কোন সুযোগ থাকবে না।”
প্রস্তাবগুলো আমলে না নেওয়ায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান মাকসুদ।
টানা ১৫ বছর ধরে সংগঠনটি কোনো নির্বাচন হয়নি-মাকসুদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে হামিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা ভুল করেছে। কালকে মিটিংয়ে বিষয়টি দেখব। এক্সিকিউটিভ কমিটি এ ব্যাপারে লিখিত বক্তব্য দেবে।”
নির্বাহী কমিটি থেকে মাকসুদ সরে দাঁড়ালেও তার নেতৃত্বাধীন ‘মাকসুদ ও ঢাকা’ ব্যান্ড বামবার সাধারণ সদস্য হিসেবে থাকবে কি না-তা ব্যান্ডের সদস্যের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানান তিনি।