আস্তানা সিম্ফনি আর সুব্রামনিয়ামের বাদনে পর্দা উঠবে বেঙ্গল উৎসবের

ষষ্ঠ বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব আয়োজনের জন্য জায়গা বরাদ্দ পাওয়ার পর এবার বিস্তারিত দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2017, 07:19 AM
Updated : 10 Dec 2017, 10:24 AM

বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে এ উৎসব চলবে, যাতে অংশ নেবেন বিভিন্ন দেশের ৩৩জন সংগীত ও নৃত্য শিল্পী।

এবারের আয়োজনের উদ্বোধনে থাকছে ভারতীয় উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের সঙ্গে ওয়েস্টার্ন ক্ল্যাসিকাল মিউজিকের ফিউশন।

২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় কাজাখস্তান থেকে আসা ৫৮ সদস্যের আস্তানা সিম্ফনি ফিলহারমানিক অর্কেস্ট্রার সঙ্গে ভারতের বিখ্যাত বেহালা শিল্পী এল সুব্রামনিয়ামের সেই যুগল বাদনে উৎসবের সূচনা হবে।

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত ধ্রুপদ শিল্পীদের নিয়ে বেঙ্গলের আগের পাঁচটি উৎসবের আয়োজন হয়েছিল বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে। সেখানেই ২৩ থেকে ২৭ নভেম্বর এবারের উৎসব আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিল বেঙ্গল ফাউন্ডেশন।

কিন্তু সেনা ক্রীড়া সংস্থার অনুমতি না মেলায় শাস্ত্রীয় সংগীতের বড় এ উৎসবের আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এই অবস্থায় গত ২২ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বেঙ্গলের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু বলেন, এ বছর উৎসবটি হচ্ছে না। 

পরে ১৪ নভেম্বর আবুল খায়ের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ধানমন্ডির শেখ কামাল আবাহনী মাঠ বরাদ্দ পাওয়া গেছে; উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব এ বছরই হবে।

রোববারের সংবাদ সম্মেলনে লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, উৎসব আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি তারা শুরু করেছেন। এবার উৎসবে ভারতীয় উপমহাদেশের যে বিখ্যাত শিল্পীদের আসার কথা ছিল, তাদের প্রায় সবাই আসছেন।

এবার উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে। উৎসবের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

প্রতিবারের মত এবারও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করে বিনামূল্যে পাস সংগ্রহ করা যাবে।  রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর।

অনুষ্ঠান স্থলে গিয়ে নিবন্ধনের কোনো সুযোগ নেই; কাজটি করতে হবে অনলাইনেই। সেই পাস এবং ফটো আইডি দেখিয়ে প্রবেশ করতে হবে উৎসবের আঙিনায়। অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে গাড়ি রাখার কোনো ব্যবস্থা থাকছে না।

প্রতিদিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান শুরুর পর রাত ১২টায় অনুষ্ঠানস্থলের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হবে। ওই সময়ের পর আর ভেতরে প্রবেশ করা যাবে না। ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের উৎসবে না আনতে অনুরোধ করেছেন আয়োজকরা।

লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, ইভেন্ট ব্যবস্থাপনায় থাকা ব্লুজ কমিউনিকেশন উৎসবের শব্দ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করবে, যাতে শব্দ মাঠের বাইরে যেতে না পারে।

উৎসবস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।