“প্রায় এক বছর ধরে আমরা এই কাজটি করার চেষ্টা করছি, আমরা জায়গা পেয়েছি আফতাব নগরে, শিল্পীদের জন্য একটি ভবন আমরা করব।”
Published : 21 Apr 2024, 08:33 PM
রাজধানীর আফতাবনগরে হবে ‘অ্যাক্টরস হোম’, যেখানে অভিনয় শিল্পীদের জন্য থাকবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আড্ডার জায়গা, চর্চার জায়গা।
সরকারের কাছ থেকে পাওয়া সাড়ে তিন কাঠা জমিতে গড়ে তোলা হবে অভিনয় শিল্পীদের স্বপ্নের এই ভবন।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম শনিবার এ তথ্য জানান।
এদিন সাভারের লাজপল্লীতে সংঘের ‘বৈশাখী উৎসব’ ও সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ভবন নির্মাণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
নাসিম বলেন, “আমরা একটা স্বপ্নের জায়গায় পৌঁছেছি, সেটা হচ্ছে শিল্পীদের জন্য একটা স্থায়ী জায়গা তৈরি করা। যেখানে থাকবে শিল্পীদের রিক্রিয়েশন সেন্টার, চর্চার জায়গা, শিল্পীদের গুণগত মান উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পেশার উৎকর্ষ সাধন। বিভিন্ন দেশে অ্যাক্টিং প্যাটার্ন যেভাবে পরিবর্তন হচ্ছে সেগুলো নিয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষা, টেকনোলজির উন্নতি, একসাথে শিল্পীদের সময় কাটানোর জন্য একটা কমপ্লেক্স নির্মাণের ভাবনা আমাদের এসেছে।”
এক বছর ধরে অভিনয়শিল্পীদের জন্য স্থায়ী এমন একটি ঠিকানা তৈরির কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা জায়গা পেয়েছি আফতাব নগরে, শিল্পীদের জন্য একটি ভবন আমরা করব। অচিরেই সেটা নির্মাণের কাজ শুরু হবে। আমাদের সাধারণ সভায় এটি চূড়ান্ত হয়েছে। শিল্পীরাও এটা নিয়ে খুব খুশী।
“দেখা গেছে, শিল্পীরা মানুষকে বিনোদন দেয় কিন্তু শিল্পীদের বিনোদনের কোনো জায়গা নেই। শিল্পীরা নির্বিঘ্নে বসে আড্ডা দিবে, চা খাবে সেই জায়গা নেই। সুতরাং এই ভবনের মধ্যে শিল্পীরা সব ধরনের সুবিধা পাবে।”
জায়গা বরাদ্দ দেওয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান বলেন, “এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো না, ৫৪ বছরে বাংলাদেশের অভিনয় শিল্পীদের জন্য এমন জায়গা হচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আর এ বিষয়ে যিনি সবথেকে বেশি সহায়তা করেছে তিনি হলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা, ভালোবাসা প্রকাশ করছি। আমাদের জন্য এটি অসাধারণ কাজ হয়েছে।”
শিল্পীদের জন্য এই জায়গা পেয়ে আনন্দিত অভিনেত্রী নাজনীন চুমকি।
তিনি বলেন, “অভিনয় শিল্পী সংঘ নিজেদের জন্য, সকল শিল্পীর জন্য একটি ছোট জমি পেয়েছে। আমাদের সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র শিল্পীদের প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে। ভেবেই আনন্দ লাগছে সেখানে শিল্পীরা ভবিষ্যতে আড্ডা দেবে, একসাথে সিনেমা দেখবে, গল্প করবে, বই পড়বে, একসাথে সময় পার করবে।”
সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন আবুল হায়াত, খায়রুল আলম সবুজ, আফজাল হোসেন, আমিরুল হক চৌধুরী, এজাজুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, জাকিয়া বারী মম, নাজনীন চুমকি, তানভীন সুইটি, দীপা খন্দকারসহ অনেকে।