‘দি লাইফ অ্যাহেড’ দিয়ে ছবিতে ফিরলেন সোফিয়া লরেন

বড় পর্দায় নয়, স্ট্রিমিং মিডিয়ার মাধ্যমে ফিরলেন ইতালীয় অভিনেত্রী সোফিয়া লরেন।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Nov 2020, 01:52 PM
Updated : 23 Nov 2020, 01:52 PM

প্রায় এক যুগ পর চলচ্চিত্রে কাজ করলেন ইতালির কিংবদন্তী অভিনেত্রী সোফিয়া লরেন। তাও আবার ছেলের পরিচালিত সিনেমায়। এই মাসের প্রথম সপ্তাহে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া ছবিটির নাম ‘দি লাইফ অ্যাহেড’, যা এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের সেরা দশ ছবির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে ডেডলাইন ডটকম জানায়, ২০০৯ সালে ‘নাইন’ ছবির পর সোফিয়া লরেনের এটাই বড় কাজ। আর এই ছবি বিশাল ছাপ রাখবে, তা কি করে হয়। প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেন, রোমানিয়া, পোর্তুগাল, মেক্সিকো, কলাম্বিয়া, পোল্যান্ড, গ্রিসস-সহ ৩৭টি দেশের সেরা দশ ছবির তালিকায় অবস্থান করছে ছবিটি।

নেটফ্লিক্স আসল সংখ্যা প্রকাশ না করলেও তারা দাবি করছে, এখন পর্যন্ত এর দর্শকের সংখ্যা সব থেকে বেশি।

ইতালীয় ভাষায় নির্মিত এই ছবি পরিচালনা করেছেন লরেনের ছেলে এডওয়ার্ডো পন্টি। যেটার ইতালীয় ভাষায় নাম ‘লা ভিতা দাভান্তি আ সে’।

ছবির কাহিনি এগিয়েছে এক প্রাক্তন যৌনকর্মীকে ঘিরে, যে কিনা পরে শিশুদের দেখভালের দায়িত্ব নেয়। ঘটনাক্রমে ১২ বছরের এক চোরকে সে দত্তক নিলে তাদের মধ্যে এক বন্ধন গড়ে ওঠে। এবং ওই যৌনকর্মী ছেলেটির জীবনের পথ খুঁজে নিতে সাহায্য করে।

ফ্রান্সের সাহিত্যিক রোমেইন গ্যারি’র উপন্যাস ‘দি লাইফ বিফোর ইউএস’ অবলম্বে নির্মিত এই ছবি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে লরেন বলেন, “আমরা হৃদয়ের গভীর থেকে আত্মার শান্তি নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছি। আর সারা পৃথিবীর বহু মানুষ একে ভালোবেসে দেখেছে বলে আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। ইতালির চলচ্চিত্রের পক্ষ থেকে আমার কৃতজ্ঞতা।”

পন্টি বলেন, “আমি অভিভূত আর অতি-আনন্দিত যে, এই ছবি বিশ্বব্যাপি সমাদৃত হয়েছে। আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশে শীর্ষ দশে অবস্থান করছে। যা কিনা ইতালির চলচ্চিত্রের জন্য সত্যি একটা সৌন্দর্য্যের বিষয়।”

সমালোচকরা ধারণা করছেন এই ছবির মাধ্যমে সেই ১৯৬১ সালের পর আবার সোফিয়া লরেন অস্কার জয় করতে পারেন।

উল্লেখ্য সোফিয়া লরেন হলেন প্রথম অভিনেত্রী যিনি ১৯৬১ সালের ‘টু উইমেন’ ছবির জন্য বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে অস্কার জয় করেন। এছাড়া ১৯৬৫ সালে ‘ম্যারেজ ইটালিয়ান স্টাইল’য়ের জন্য তিনি অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।