বলিউডে প্লেব্যাক রানাঘাটের রানু মণ্ডলের

তার গাওয়া একটি গান ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর বলিউডের চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করলেন কলকাতার রানাঘাট স্টেশনের ভিক্ষুক রানু মণ্ডল।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2019, 03:28 PM
Updated : 25 August 2019, 04:24 PM

মুম্বাইয়ের সংগীতশিল্পী হিমেশ রেশমিয়ার সঙ্গে ‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হীর’ চলচ্চিত্রের ‘তেরি মেরি, তেরি মেরি কাহানি’ শিরোনামে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

ছবি: ফেইসবুক থেকে নেওয়া।

গত ২০ জুলাই রানুর কণ্ঠে লতা মঙ্গেশকরের ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়’ গানের ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ায় আলোচনার প্রাদপ্রদীপে উঠে আসেন তিনি। রানাঘাটের সহায়-সম্বলহীন এই নারীর পাশে অনেকেই দাঁড়িয়েছেন, বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজ-খবর নিয়েছেন রানাঘাটে জন্ম নেওয়া দুই বাংলার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কমলিকা চক্রবর্তীও।

কমলিকা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন রানু মণ্ডল। মানসিকভাবেও তিনি খানিকটা অসুস্থ। এখন চিকিৎসা চলছে। নোংরা জামা পরে স্টেশনে বসে থাকতেন। কেউ খেতে দিলে খেতেন, না দিলে না খেয়ে থাকতেন। তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর চেষ্টা করছি আমরা।”

৫২ বছর বয়সী এ নারীর জাতীয় পরিচয়পত্রও ছিল না; পাশে ছিলেন না সন্তানরাও। বস্তিতে একা জীবন যাপন করতেন। শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ায় দশ বছর পর তাকে দেখতে এসেছিলেন তার মেয়ে। স্থানীয়দের সহায়তায় জাতীয় পরিচয়পত্রও মিলেছে তার।

 

অতীন্দ্র চক্রবর্তী নামে এক প্রকৌশলী রানুর গানের ভিডিও ফেইসবুকে প্রকাশের পরপর তার কণ্ঠে বুঁদ হয়ে যান লাখ লাখ সঙ্গীতপ্রেমী। ভিডিওটি কোটিবারের বেশি দেখা হয়েছে। সেই ভিডিওর কল্যাণেই মুম্বাইয়ের একটি রিয়েলিটি শো’তে ডাক পান তিনি। সেখানেই তার সন্ধান পান বলিউডের সংগীতশিল্পী হিমেশ রেশমিয়া।

হিমেশকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, “সালমান খানের বাবা সেলিম খান আমাকে বলেছেন, যখনই কোনো প্রতিভাবানের খোঁজ পাবে, তখনই তা বিকাশের ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।”

সেলিম খানের সেই উপদেশ মেনেই রানুকে বলিউডে গাওয়ার সুযোগ করে দেন বলে জানান তিনি।