ঈদের ছবি ‘নদীজন’: মানুষ, প্রকৃতি, রাজনীতির কথা

২০১২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী চিত্রপরিচালক শাহনেওয়াজ কাকলী নির্মাণ করেছেন আরও একটি জীবনঘনিষ্ঠ সিনেমা। নদীপাড়ের মানুষ, প্রকৃতি আর সমাজব্যবস্থাকে তিনি তুলে এনেছেন রূপালী পর্দায়। ‘নদীজন’ নামের সিনেমাটিতে গ্রামীন পটভূমিকায় উঠে এসেছে পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ আর ধর্মীয় গোড়ামির অমানবিক দিকগুলো।

জয়ন্ত সাহাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 July 2015, 02:56 AM
Updated : 19 July 2015, 03:51 PM

ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটি ঈদ-উল-ফিতরে ঢাকার যমুনা ব্লকবাস্টাসর্ সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি প্রচারিত হবে চ্যানেল আইয়ে। সম্প্রতি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম কাযর্ালয়ে এসেছিলেন সিনেমাটির পরিচালক শাহনেওয়াজ কাকলী, অভিনেতা মামুনুর রশীদ, শর্মি মালা, প্রাণ রায়। সিনেমাটির নানা দিক নিয়ে তারা মুখোমুখি হয়েছিলেন গ্লিটজের।

গ্লিটজ: প্রথমেই শাহনেওয়াজ কাকলীর কাছে জানতে চাই সিনেমাটির নামকরণ প্রসঙ্গে। সিনেমার নাম ‘নদীজন’ কেন?

কাকলী: সিনেমার নাম নিয়ে আমি অনেকবার ভেবেছি। জহিরুল হকের ‘গুণ’ উপন্যাসটি থেকে এই সিনেমাটির গল্প লেখা হয়েছে। উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে কখনো মনে হয়েছে মাঝির গল্প, কখনো মনে হয়েছে অন্য কিছু। নদীর তীর খুঁজতে খুঁজতে একদিন মাথায় ঢুকে গেল, নদীর মাঝি একজন মানুষ বা জন। দুটি শব্দকে একসঙ্গে জোড়া দিলে কেমন হয় ব্যাপারটি। একটি নতুন শব্দ নিয়ে খেলা করার নেশা পেয়ে বসলো আমাকে। আমি সিনেমাটির নাম রেখে দিলাম ‘নদীজন’। অনেকেই এই নামটির বেশ প্রশংসা করছেন, বলছেন বাংলা অভিধানে একটি নতুন শব্দ সংযোজন হল।

তবে ‘নদীজন’ সিনেমাটিতে আমি যে শুধু নদী-নৌকা-মাঝিকে উপজীব্য করেছি তা কিন্তু নয়। মাঝির পাশাপাশি তার জীবনের অনেক অনুষঙ্গ, নদী তীরবর্তী আরও কিছু মানুষ যারা মাঝি ‘আয়ানে’র জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেল, তাদের গল্পও বলেছি।

গ্লিটজ: নদী তীরবর্তী সমাজ ব্যবস্থাকে আপনি কিভাবে পর্দায় নিয়ে এসেছেন? কোন বিষয়গুলোকে আপনি প্রাধান্য দিয়েছেন?

কাকলী: নদী ও তার তীরবর্তী অঞ্চলকে এলাকা, মাঝিকে জীবন হিসেবে ধরে প্রাধাণ্য দেওয়া হয়েছে পারিবারিক আবেগকে। সিনেমাটিতে হিল্লা বিয়ের কথাও রয়েছে। সেন্সর বোর্ডের আপত্তির কারণে হিল্লা বিয়ের দৃশ্যটিকে আমি সেভাবে দেখাতে পারিনি সত্যি। সরকারিভাবে নিষিদ্ধ বিধায় হিল্লা বিয়ের দৃশ্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল সেন্সর বোর্ড সদস্যরা। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকবে কি থাকবে না, পরস্পরকে তারা তালাক দেবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সমাজ। এই বিষয়টি আমার দৃষ্টিকে বড় কটু লেগেছে।  এখানে তো সমাজের দায়বদ্ধতা নেই কারও ঘর টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে। সমাজ তখন ধর্মীয় বাধা নিষেধ নিয়ে এসে দাঁড়ায় সামনে। ধর্মের অপব্যাখ্যায় তারা নির্ধারণ করে দেয় সম্পর্কের গতিপথ। সমাজের এসব কূপমণ্ডুকতাকেও আমি তুলে এনেছি আমার চলচ্চিত্রে।

ছবি : আব্দুল মান্নান দীপ্ত, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

 

গ্লিটজ: আপনি সিনেমার চিত্রনাট্যও লিখেছেন। সিনেমার শিল্পী নির্বাচনে কোন বিষয়গুলো মাথায় রেখেছিলেন?

কাকলী: আমি যখন ‘গুণ’ উপন্যাসটি পড়ছিলাম, তখন কিন্তু সিনেমার কোনো চরিত্রই আমার মাথায় ছিল না। নিজের মতো করে চরিত্রগুলো তৈরি করেছিলাম আমি। কিন্তু যখন চিত্রনাট্য লিখতে বসলাম, তখন চিত্রায়নের ব্যাপারটি ঢুকে গেল মাথায়, তখন কিন্তু আমি সিরিয়াস। আমি তখন ভাবতে শুরু করলাম, এই চরিত্রগুলোতে কারা আসলে ভালো অভিনয় করবে। নিজের সবটুকু ঢেলে দিয়ে সেরা অভিনয় কারা করবে, এই নিয়ে অনেকবার ভাবতে হয়েছে আমাকে।

আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের বেশ কজন ছাত্রছাত্রীকে বলেছিলাম এই সিনেমাটির ব্যাপারে। টিভি নাটকের অনেকের সঙ্গেও এই সিনেমার ব্যাপারে কথা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার, তারা প্রত্যেকেই অভিনয়ে নামার আগেই জানতে চেয়েছে টাকার অঙ্ক কেমন। আমার বুঝতে বাকি রইলো না, তারা টাকার পরিমাণ শুনেই ঠিক করবে কতটা অভিনয় করবে। আমি তাদের বাদ দিয়ে আবারো চিন্তা করতে লাগলাম। সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার শুরু থেকেই আমার পাশে ছিল প্রাণ। প্রাণের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে আমি জানি। প্রাণকেই আমি সিনেমাটির প্রধান চরিত্র আয়ান এর জন্য মনোনীত করলাম। আয়ানের স্ত্রী সামছির চরিত্রটির জন্য আমি মনোনীত করেছি শর্মীমালাকে, যে কিনা ইতোমধ্যে ‘মৃত্তিকা মায়া’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কার ঘরে তুলেছে। নেতিবাচক চরিত্র ফতেহ আলী খানের জন্য মামুনুর রশীদকে অনুরোধ করতেই তিনি রাজি হলেন। সিনেমাটির বাণিজ্যিক দিকটির কথা মাথায় রেখে আমি রেখেছি তমা মির্জা এবং নিরবকে। তাদের চিরায়ত রূপকে ভেঙ্গে পর্দায় উপস্থাপন করাও সোজা কাজ ছিল না। একটি কথা ঠিক, আমি অভিনয়ের ব্যাপারে কাউকে একচুলও ছাড় দেইনি, এমনকি মামুনুর রশীদকেও না।

গ্লিটজ: মামুনুর রশীদ, আপনি ‘নদীজন’ টিমের সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য। আপনার চরিত্রটি নিয়ে জানতে চাই। এই সিনেমার গল্প নিয়ে আপনার মন্তব্য কি?

মামুনুর রশীদ: আমাদের গ্রামীণ সমাজে সমাজপতিরা ধর্মের নানা অপব্যাখা দিয়ে কী অমানবিক কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছে, তাই এ সিনেমাতে উঠে এসেছে। আমার মনে পড়ে যাচ্ছে তুলসী লাহিড়ীর লেখা ও শম্ভু মিত্রের ‘ছেঁড়া তার’ নাটকের কথা, যেখানে হিল্লা বিয়ের কথা উঠে এসেছিল।

ফতেহ আলী খান চরিত্রটি একটু চতুর, ধূর্ত টাইপের। তার বাড়িতেই আশ্রিত মাঝি আয়ানের স্ত্রী সামছিকে তার ভালো লেগে যায়। নানা কৌশলে সে সামছিকে স্ত্রী হিসেবে পেতে চায়। তবে শেষ পর্যন্ত কিন্তু সে পেরে উঠে না।

আমি অনেক পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি। তবে কাকলীর মতো এমন খুঁতখুঁতে পরিচালক দেখিনি। অনেক পরিচালকই মনে করে, আমি সিনিয়র অভিনেতা। আমি যেমন অভিনয় করছি, তেমনভাবেই চালিয়ে দেবে। কিন্তু কাকলী একেবারেই নাছোড়বান্দা। সে অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমাকে একবিন্দু ছাড় দেয়নি। আমার অভিনয় পছন্দ না হলে সে মুখের উপর বলে দিয়েছে, ‘আপনার অভিনয় ভালো হচ্ছে না’। খুব কম পরিচালক এভাবে বলে। সেরাটি বের করে নিয়ে আসতে সে বদ্ধপরিকর।

গ্লিটজ: আসছি প্রাণ রায়ের কাছে। প্রাণ, আপনি এর আগে কাকলীর ‘উত্তরের সুর’ সিনেমাতে আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। এবার তার সঙ্গে কাজ করছেন অভিনেতা হিসেবে এবং তা একেবারে প্রধান চরিত্র। আপনার চরিত্রটি নিয়ে জানতে চাই। একই সঙ্গে জানতে চাই, স্ত্রী কাকলী পরিচালক হিসেবে কেমন ছিলেন?

প্রাণ : আয়ান একজন সহজ সরল মাঝি, সে ছোটবেলা থেকেই ফতেহ আলী খানের পোষ্য। খানের কথা মতোই সে খেটে চলে। পছন্দের মেয়ে সামছিকে সে ঘরে তুলে খানের বদান্যতায়। কিন্তু এই সামছিকে ঘিরে সমাজ-সংসারের নানা কুৎসা, খানের সঙ্গে সামছির মিথ্যা সম্পর্কের অপবাদকে সত্যি বলে মনে করা আয়ান একদিন বিপদের মুখোমুখি হয়। জীবনের অন্য বাঁকে গিয়ে সে দেখে জীবনের অন্য এক রূপ। বাকিটা দর্শক হলে গিয়ে দেখুক।

পরিচালক কাকলী সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নাই। মামুনুর রশীদের মতো আমিও বলতে চাই পরিচালক কাকলী বড় খুঁতখুঁতে। কাকলী তার মতো করে চরিত্রটিকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে চায়। একেকটি চরিত্রকে কতটুকু প্রাধান্য দেওয়া হবে, সে খুব ভালোভাবেই জানে।

কাকলী: এখানে আমি একটু বলি। প্রাণকে নির্দেশনা দেওয়া আমার জন্য একটু কঠিন ছিল। আমি অন্যান্যদের যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছি, প্রাণকে সেভাবে নির্দেশনা দিতে পারিনি। বাস্তবের সম্পর্ক আমার কাজের ক্ষেত্রে বড় অসুবিধাই সৃষ্টি করেছিল। আমি মামুন ভাইকে, শর্মীমালাকে যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছি, প্রাণকে হয়তো সেভাবে বলতে পারিনি। তার প্রতি যতটা কঠোর আমি হতে পারতাম, আমি হইনি। সম্পর্ক কাজের ক্ষেত্রে বড় বিঘ্ন।

গ্লিটজ: এবার আসি শর্মীমালার কাছে, আপনার জায়গা থেকে সামছি চরিত্রটি সম্পর্কে বলুন।

শর্মীমালা: আমার কিন্তু সামছি চরিত্রটি করার কথা ছিল না। অন্য একটি চরিত্র করার কথা ছিল। পরে কাকলী আপু সিদ্ধান্ত পাল্টালেন। তার আগের গল্পটি বলি। কাকলী আপু যখন ডেকে পাঠালেন, তখন আমার স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা ছিল, আমি একজন নারী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করবো। তখন সত্যি আমার চরিত্র কেমন হবে তা ভাবিনি। সামছি চরিত্রটির জন্য আমি কৃতজ্ঞ থাকবো মামুনুর রশীদের কাছেও। কাকলী আপুকে মামুন ভাইই সামছি চরিত্রের জন্য আমার নামটি প্রস্তাব করেছিলেন।

সামছি চরিত্রটি আবহমান গ্রামবাংলার চিরাচরিত এক বধুর, যে কি না সমাজে প্রচলিত নানা কুসংস্কারের শিকার। এই চরিত্রটিতে অনেক টুইস্ট আছে, যা আমি এখন বলতে চাই না। তবে এ চরিত্রটির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে আমাদের নারী জীবনের নিদারুণ চিত্রটি। একজন পুরুষ নারীকে ঠিক কিভাবে দেখছে, পুরুষের সঙ্গে নারীর সম্পর্কের ধরন, পরস্পরের চোখে পরস্পরের দেখার ধরনটিই বা কেমন তা এই চরিত্রটির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। এক্ষেত্রে আমি কৃতিত্ব দেব, পরিচালককে। তার সঙ্গে আমার সমঝোতা দারুণ ছিল বলেই আমি চরিত্রটিকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি।

গ্লিটজ: শর্মী, আপনার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী চরিত্র পদ্মের সঙ্গে কি সামছির মিল খুঁজে পান?

শর্মীমালা: দুটো চরিত্রই একই গোছের। ‘মৃত্তিকা মায়া’র পদ্ম যেমন আত্মকেন্দ্রিক, তেমনটি সামছিও। দুজনই এমন পরিবেশে বড় হয়েছে বা তাদের পারিবারিক শিক্ষা এমন যে, তারা অন্যায় হচ্ছে জেনেও প্রতিবাদ করতে পারছে না। সিনেমার একেবারে শেষ অংশে এসে তারা সত্যিকারেই প্রতিবাদী হয়ে উঠে।

গ্লিটজ: ‘নদীজন’ সিনেমাটি ইতোমধ্যে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল ও জেনেভার ইন্টারন্যাশনাল অরিয়েন্টাল ফিল্ম ফেস্টিভালে অংশ নিয়েছে। এ দুটি উৎসবে কেমন সাড়া পেয়েছে সিনেমাটি?

কাকলী: তারা ‘নদীজন’ সিনেমার বিষয়গুলো নিয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত হয়েছে। ল্যান্ডস্কেপে নৌকার গুণ টানার দৃশ্যটি জুরি বোর্ড সদস্যদের দৃষ্টি কেড়েছে। হিল্লা বিয়ের দৃশ্যগুলো দেখে ইউরোপীয়রা খুব অবাক হয়েছে। তারা বিশ্বাসই করতে চাইছিল না, তালাকের পর সেই স্ত্রীকে বিয়ে করতে হলে হিল্লা বিয়ে দিতে হবে। গল্পের নানা দিক নিয়েও তারা আমাকে প্রশংসা করেছে।

গ্লিটজ: এবার সিনেমার বাণিজ্যিক দিকটি নিয়ে প্রশ্ন। ঈদের দিন সিনেমাটি চলবে কেবল যমুনা ব্লকবাস্টার্সে। এত টাকা লগ্নি করে, খাটুনি করে সিনেমা বানালেন আর তা মাত্র একটি হলে মুক্তি পেল, ব্যাপারটি নিয়ে ইমপ্রেস কী বলেছে?

প্রাণ: সিনেমাটি ঈদে মাত্র একটি হলে মুক্তি পাচ্ছে তার মানে তো এই না যে পরে আর কোনো হলে মুক্তি দেবে না ইমপ্রেস। নিশ্চয়ই ইমপ্রেসের আলাদা পরিকল্পনা আছে।

কাকলী: এই ব্যাপারটি একেবারেই ইমপ্রেস টেলিফিল্ম জানে। সিনেমার বাণিজ্যিক দিক পুরোটাই তারা দেখছে। তারাই ভালো বলতে পারবে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এই সিনেমার মার্কেটিংয়ে জড়াতে চাই না। আমি এসব বুঝি কম।

মামুনুর রশীদ: আমি একটু অন্য কথা বলি। আমি মনে করি, ‘নদীজন’ এর মতো সিনেমা দেখার জন্য আলাদা একটি দর্শক শ্রেণী তৈরি হয়েছে। সিনেমা হলে এইসব সিনেমা চলে না এমন অজুহাতে সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না এসব কথা সঠিক নয়। আমি মনে করি, সিনেমাটি যে ঈদে বেশি সংখ্যক হলে প্রচারিত হলো না তার দায় পুরোপুরি প্রযোজকের। তাদের গাফিলতি রয়েছে। এর আগে ‘মৃত্তিকা মায়া’ সিনেমার ক্ষেত্রে যে ঘটনা ঘটিয়েছে ইমপ্রেস, ‘নদীজনে’র ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। ‘মৃত্তিকা মায়া’ রেকর্ড গড়লো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ইতিহাসে, অথচ সেভাবে হলে মুক্তি দেওয়া হয়নি বলে দারুণ সিনেমাটি দেখতেই পেলো না দর্শক। ব্যাপারটি সত্যি দুঃখজনক।