চলচ্চিত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান ব্রাদার্স সূত্রে জানা গেছে, ‘খোকা ৪২০’ সিনেমাটি শুক্রবার ৪৫টি হলে মুক্তি পাচ্ছে। পরবর্তী সপ্তাহ থেকে হল সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অন্যদিকে ‘চিনিবিবি’ পরিচালক নজরুল ইসলাম বাবু জানিয়েছেন, তার সিনেমাটি মুক্তি পাবে ৪২টি হলে।
বাংলাদেশ সিনেমা হলমালিক ও প্রদর্শক সমিতির সহ-সভাপতি সুদীপ্ত দাশ গ্লিটজকে জানিয়েছেন, ঢাকার মধুমিতা, ব্লকবাস্টাসর্ সিনেমাস, শ্যামলী সিনেপ্লেক্স, এশিয়া সিনেমাসহ আরও বেশ কিছু হলে মুক্তি পাচ্ছে দেব অভিনীত সিনেমাটি।
এর আগে ভারতীয় সিনেমা ‘ওয়ান্টেড’ ও ‘ডন-টু’ বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলেও দর্শক টানতে পারেনি। তবে টালিগঞ্জের সিনেমাটি নিয়ে আশাবাদী হলমালিক ও প্রদর্শক সমিতি।
২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি ভারতীয় চ্যানেলে এরই মধ্যে প্রদর্শিত হয়েছে। অনলাইনেও সিনেমাটি সহজলভ্য। তাহলে দর্শক কেন হলে যাবে এমন প্রশ্নের জবাব মেলেনি তার কাছ থেকে।
রাজিব বিশ্বাস পরিচালিক ‘খোকা ৪২০’ চলচ্চিত্রে দেব ছাড়াও অভিনয় করেছেন শুভশ্রী, নুসরাত, রজতাভ দত্ত, তাপস পালসহ আরও অনেকে। তেলেগু চলচ্চিত্র ‘বৃন্দাবনম’- এর কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটি ৫১ কোটি রুপি আয় করেছিলো বলে জানা যায়।
পুরনো বাংলা সিনেমা ‘খোকা ৪২০’ হলে ব্যবসা করতে পারবে না - এমন বিশ্বাসে আশায় বুক বাধছেন ‘চিনি বিবি’ পরিচালক নজরুল ইসলাম বাবু। তার দৃঢ় বিশ্বাস ‘চিনিবিবি’র ব্যবসায়িক সাফল্যকে ছুঁতেই পারবে না পশ্চিমবঙ্গের বাংলা সিনেমাটি।
নজরুল ইসলাম জোর গলায় বলছেন, “ফোকধর্মী গল্প নিয়ে নির্মিত সিনেমাটিই প্রকৃতপক্ষে চলবে প্রেক্ষাগৃহে । গ্রামের সহজ-সরল প্রেমের গল্পে দর্শক ভিন্নতা পাবে। মৌলিক গল্প নিয়ে বড় ক্যানভাসের এই সিনেমাটির কাছে ভারতীয় সিনেমাটি ধোপে টিকবে না । ওসব পুরনো সিনেমা দেখতে কে যাবে হলে?”
গ্রামের এক চঞ্চল তরুণীর গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘চিনিবিবি’ ছবির কাহিনি। ‘চিনিবিবি’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগতা মিষ্টি জান্নাত, যার প্রথম সিনেমা ‘লাভ স্টেশন’ একেবারেই মুখ খুবড়ে পড়েছিলো।
ছবিটি প্রসঙ্গে মিষ্টি জান্নাত বলেন, “আমাকে নিয়েই গড়ে ওঠেছে সিনেমার গল্প। দুরন্ত মেয়েটি সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রেম করে গ্রামেরই এক ছেলের সঙ্গে। যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি নিজের চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার জন্য। আশা করছি এই চরিত্রটিই আমাকে দর্শকের আরও কাছে নিয়ে যাবে।”
এখন দেখার পালা, ভারতীয় বাংলা সিনেমার বিপরীতে ঢাকাই সিনেমার লড়াই কতটা জমে উঠে।
এদিকে ভারতীয় বাংলা সিনেমা আমদানি নিয়ে এক সময় আন্দোলন গড়ে তুললেও টালিগঞ্জের সিনেমা মুক্তি ইস্যুতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্যজোট নেতারা একেবারেই নীরব।