প্রথমবারের মতো মান্না উৎসব

শোক নয়, এবার উৎসবের মাধ্যমে প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্নাকে স্মরণ করতে যাচ্ছেন তার সহশিল্পীরা। মান্নার মৃত্যুর সাত বছর পর এবারই প্রথম বৃহৎ পরিসরে তাকে নিয়ে আয়োজনটি করছে মান্না ফাউন্ডেশন। আগামী ৬ই মার্চ ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে উৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।

বিনোদন প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2015, 07:50 AM
Updated : 10 Feb 2015, 07:52 AM

মান্না ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ও মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না জানান, মান্না উৎসবের রাতে পারফর্ম করবেন ঢাকাই সিনেমার প্রথম সারির তারকারা। তাদের পারফমর্েন্সের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে সর্বাধিক অবদানের জন্য তিন জন চলচ্চিত্র কর্মীকে প্রদান করা হবে মান্না পদক।

শেলী আরও জানান, মান্নার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান কৃতাঞ্জলী চলচ্চিত্রের ব্যানারে এ বছর তিনটি চলচ্চিত্র নির্মিত হবে। চলচ্চিত্রগুলোর প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে।

এসব সিনেমা থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের একটি অংশ মান্না ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় 'সমাজ ও মানবতার সেবায়’ ব্যয় করা হবে বলেও জানান শেলী।

এদিকে বিএফডিসির ডিজিটাল কমপ্লেক্সের সামনে পাথরের স্মৃতিফলক থেকে মান্নার নামটি মুছে ফেলায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অমিত হাসান।
“ডিজিটাল কমপ্লেক্সের কি সব উন্নয়ন করবে বলে বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ মান্নার স্মৃতিফলক থেকে খোদাই করা নামটি মুছে ফেলেছে। উন্নয়নের নামে তার নাম কেন মুছে ফেলতে হবে, তা আমার বোধগম্য নয়। যদি তারা এটা পুনরায় ঠিক করে দেয় তাহলে ঠিক আছে। যদি না দেয়, তবে শিল্পী সমিতি নিজ উদ্যোগে মান্নার স্মৃতিফলক স্থাপনে উদ্যোগ নেবে।”

২০০৮ সালে মান্নার মৃত্যুর পর স্ত্রী শেলী ভুল চিকিৎসার অভিযোগ এনে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ঠুকেছিলেন। সেই মামলাটির এখনও কোনো সুরাহা হয়নি।

মামলার হালচাল নিয়ে বিস্তারিন না বললেও শেলী বললেন, “মামলাটি এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন। আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশী।”

এদিকে মান্না অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘লীলা মন্থন’ ২৬শে মার্চ মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্প নিয়ে আবর্তিত হয়েছে জাহিদ হোসেন ও খোরশেদ আলম খসরুর যৌথ পরিচালনায় নির্মিত এ সিনেমাটি। সিনেমাতে মান্নার সঙ্গে অভিনয় করেছেন  মৌসুমী, পপি,শাহনূরসহ আরও অনেকে।

১৯৮৪ সালে বিএফডিসির ‘নতুন মুখের সন্ধানে’ কার্যক্রমের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন এস এম আসলাম তালুকদার মান্না। ‘তওবা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করা মান্না অভিনয় করেছেন দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে। তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দাঙ্গা’, ‘বাবা’, ‘নায়ক’, ‘মান্না ভাই’, ‘আম্মাজান, ‘আব্বাজান’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘লাল বাদশা’, ‘গুন্ডা নাম্বার ওয়ান’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’। ২০০৩ সালে ‘বীর সৈনিক’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।