ভারতীয় চলচ্চিত্র আমদানী ও প্রদর্শন বন্ধে সরকারী বিধিনিষেধের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা মধুমিতা হলের সামনে পৌছান শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায়। হলের দেয়ালে সাঁটানো হিন্দি সিনেমা 'ওয়ান্টেড'-এর পোস্টার ছিড়তে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি হয়।
পুলিশ হলের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলে তারা রাস্তায় অবস্থান নেন। পরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের নেতৃত্বদানকারীরা বক্তব্য দেন। এদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী সমিতির সভাপতি শাকিব খান।
তিনি বলেন, “শুধু চলচ্চিত্র নয়, এটা হচ্ছে দেশ রক্ষার আন্দোলন। আমাদের দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে, একটি দেশ ধ্বংস করতে হলে তার সংস্কৃতি ধ্বংস করতে হয়। আমাদের সংস্কৃতি ধ্বংসের পায়তারা করছে তারা।”
শাকিব আরও জানান তারা বিভিন্ন হল ঘুরে দেখেছেন, ‘ওয়ান্টেড’ সিনেমাটির প্রতি দর্শকদের তেমন আগ্রহ নেই।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, “আমরা দেশের ভাষা ও সংস্কৃতি বিকৃত হতে দেবো না।”
এসময় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগর, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার।
বিক্ষোভকারীরা মধুমিতা হলের সামনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অবস্থান করেন। অন্যান্য প্রেক্ষাগৃহের সামনেও এ কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে তাদের।
বিক্ষোভ চলাকালীন মধুমিতা হলে ছিলেন বাংলাদেশ হল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দিন।
তিনি গ্লিটজকে জানান, দুইদিনে ‘ওয়ান্টেড’ মুক্তি পেয়েছে পঞ্চাশটি হলে। শুক্রবার ঢাকার চারটি হলের টিকিট বিক্রি ও দর্শক সংখ্যা তাদের কাছে আশানুরূপ মনে হয়েছে।
বাংলাদেশে চলচ্চিত্র প্রর্দশক সমিতির সহসভাপতি সুদীপ্ত দাসকেও পাওয়া যায় সেখানে। ‘হলের অবস্থা ভালো” মনে করছেন তিনিও।
তাঁর মন্তব্য, “বাংলা ছবি দর্শক টানতে পারে না।”