এই বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা শাকিব খান বলেছেন, “শুধু চলচ্চিত্র নয়, এটা হচ্ছে দেশ রক্ষার আন্দোলন।”
হিন্দি সিনেমা আমদানি ও প্রদর্শনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের ডাকে বৃহস্পতিবার থেকেই এফডিসির ভেতরে ও বাইরে চলচ্চিত্র বিষয়ক সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঢাকার চারটি প্রেক্ষাগৃহের সামনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের ব্যানারে শিল্পী-কুশলীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এ সময় শ্যামলী হল, ফার্মগেইটের আনন্দ সিনেমা হল ও কারওয়ানবাজারের পূর্ণিমা সিনেমা হলের সামনের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। পূর্ণিমার ওপর থেকে নামিয়ে ফেলা হয় ‘ওয়ান্টেড’এর ব্যানার।
পুলিশ হলের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলে তারা রাস্তায় অবস্থান নেন এবং সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী সমিতির সভাপতি শাকিব খান বলেন, “আমাদের দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে, একটি দেশ ধ্বংস করতে হলে তার সংস্কৃতি ধ্বংস করতে হয়। আমাদের সংস্কৃতি ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে তারা।”
চলচ্চিত্র আমদানীকারদের উদ্দেশ্য করে জনপ্রিয় এই চিত্রনায়ক বলেন, “তারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা একটি রাজাকার চক্র।... এতো সাহস তারা পায় কোথা থেকে?”
বিক্ষোকারীদের নিয়ে বিভিন্ন হলের অবস্থা দেখেছেন জানিয়ে শাকিব বলেন, ‘ওয়ান্টেড’ দেখতে দর্শকদের ‘তেমন’ সাড়া নেই।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সহসভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, “আমরা দেশের ভাষা ও সংস্কৃতি বিকৃত হতে দেব না।”
অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগর, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার এ সময় বক্তব্য দেন।
এই হলটি বিক্ষোভকারীদের অন্যতম লক্ষ্য হওয়ায় সেখানে আগে থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বাংলাদেশ হল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দিনও বিক্ষোভ চলাকালে মধুমিতায় ছিলেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, দুই দিনে ‘ওয়ান্টেড’ মুক্তি পেয়েছে পঞ্চাশটি হলে। শুক্রবার ঢাকার চারটি হলের টিকিট বিক্রি ও দর্শক সংখ্যা তাদের কাছে আশাব্যাঞ্জক বলে মনে হয়েছে।
বাংলাদেশে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সহসভাপতি সুদীপ্ত দাসও ‘হলের অবস্থা ভাল’ বলে জানান।
তিনি বলেন, “বাংলা ছবি দর্শক টানতে পারে না।”