প্রয়াত অভিনেতা হুমায়ূন ফরিদীর মতোই সেলুলয়েডের খলনায়ক হিসেবে থিতু হতে চাইছেন শতাব্দী।
‘চোখের দেখা’ চলচ্চিত্রের সেটে গ্লিটজের সঙ্গে আলাপচারিতায় শতাব্দী বললেন, “খলচরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ অনেক বেশি।”
আরও বললেন, “সিনেমায় অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমার কাছে চরিত্র সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনো সিনেমায় মাত্র দুটি দৃশ্যে অভিনয় করে অনুঘটকের ভূমিকায় থাকতে পারি, তাহলে আমার তাতে কোনো আপত্তি নেই। আমি মূলত অভিনেতা। যেখানে আমার অভিনয়ের সুযোগ রয়েছে আমি সেখানেই অভিনয় করব।”
‘জীবনঢুলী’ ও ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’-এর মতো ভিন্ন ধারার সিনেমা দুটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। সিনেমা দুটি নিয়ে শতাব্দী বলছেন, তথাকথিত নায়ক নয় বরং ‘গল্পের নায়ক’ হিসেবে তাকে উপস্থাপন করা হয়েছে।
শতাব্দী জানালেন, ‘চোখের দেখা’র পর আরও বেশ কিছু সিনেমায় কাজের ব্যাপারে আলোচনা চলছে।
নাট্যদল প্রাচ্যনাটের এই সিনিয়র অভিনেতা নতুন শিল্পীদের প্রসঙ্গে বললেন, "নতুনদের মধ্যে ধৈযর্্যশক্তি একেবারেই নেই।”
“থিয়েটারের অভিনয় তো আর ট্যাবলেট-ক্যাপসুল খাওয়ার মতো বিষয় নয় যে রাতারাতি সে অভিনেতা বনে গেলো। এখানে প্রতিনিয়ত অনুশীলন করতে হয়। সেজন্য প্রয়োজন প্রচুর সময় ব্যয় করা। কিন্তু এখনকার সময়ে যারা থিয়েটারে আসছে তাদের ভিতরে অনুশীলনের জন্য সময় খুব কম। তারা খুব অল্প সময়েই সব কিছু পেতে চায়।”
“অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ওদের অভিনয় সব চরিত্রে একই রকম হয়ে যাচ্ছে। শহরের চরিত্রে অভিনয় করলে গ্রামের চরিত্রে অভিনয় করতে পারছে না আবার গ্রামের ক্ষেত্রে পারলে শহরের ক্ষেত্রে পারছে না। তবে এটা অনেক সিনিয়র অভিনয় শিল্পীদের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে।”
সিনেমায় ব্যস্ততার পাশাপাশি টিভি নাটকেও নিয়মিত অভিনয় করছেন শতাব্দী ওয়াদুদ। এখন অভিনয় করছেন অম্লান বিশ্বাসের ‘অনন্যা’, রুলিন রহমানের ‘দহন’, নাহিদ বাবুর ‘দহন বেলা’ ধারাবাহিকে।
অভিনেতা হিসেবে তার স্বপ্নের কথাও শেয়ার করলেন গ্লিটজের সঙ্গে।
“জীবনে একবার হলেও অস্কার পুরস্কার হাতে লাল গালিচায় হাঁটতে চাই আমি।”