নব্বইয়ের দশকে শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত ‘লড়াকু’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসা রুবেল অ্যাকশন হিরো হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন। আড়াই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এই নায়ক বলছেন, ঢাকাই সিনেমাতে আরেকজন রুবেল কখনও ‘আসবে না’।
রুবেল আরও বলছেন, “আমি এমন সব দৃশ্যে অভিনয় করেছি যা উপমহাদেশে কেউ কখনও করতে পারেনি। আমি যত ঝুঁকি নিয়ে অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করেছি আগামী ১০ বছরে কেউ করতে পারবে না।”
‘লড়াই’ সিনেমার উদাহরণ টেনে রুবেল জানান, সিনেমার একটি দৃশ্যের প্রয়োজনে ২০০ ফুট উঁচ্চতা থেকে লাফ দিয়ে হাতে ‘মারাত্মকভাবে’ জখম হয়েছিলেন তিনি। তবে সিনেমার গল্পে এতটাই মজে গিয়েছিলেন যে জখম নিয়ে সেদিনের শুটিং চালিয়ে গিয়েছিলেন।
অভিনয়ের জন্য প্রাপ্য সম্মানি এখনও বকেয়া রয়েছে জানিয়ে বললেন, “সারাজীবন চলচ্চিত্রকে দিতে চেষ্টা করেছি। এখান থেকে কি পেলাম, কি পেলাম না তার হিসাব রাখিনি। টাকার পেছনে ছুটিনি কখনও।”
চলচ্চিত্রে নবাগতদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “কেউ যদি শখের বশে চলচ্চিত্রে আসে তাদের অনুরোধ করবো আপনারা চলে যান। শখের বশে অভিনেতা বা অভিনেত্রী হওয়া যায় না। আর যারা সত্যি অভিনয় করতে চান, তাদের অনেক কিছু শিখতে হবে। কাজ শিখতে হলে লেগে থাকতে হবে।”
নবাগত অভিনেতা-অভিনেত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রুবেল বলেন, “রাতারাতিই তো উন্নতি সম্ভব নয়। ওদের সময় দিতে হবে, তবেই ওরা পূর্ণতা পাবে। নবীনদেরও কাজের প্রতি আরও একাগ্র হতে হবে।”
নায়ক হিসেবে সাফল্যের কৃতিত্ব দিলেন পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকনকে। ‘লড়াই’য়ের পর ‘উদ্ধার’, ‘বীরপুরুষ’, ‘বজ্রমুষ্ঠি’, ‘মাকরশা’, ‘ভন্ড’সহ অনেক সিনেমাতে রুবেলকে সুযোগ দিয়েছেন পরিচালক।
“চলচ্চিত্রে আমার আজ যা অবস্থান, তার পুরো কৃতিত্ব আমার বন্ধু খোকনের। আমাকে দিয়ে আলাদা কিছু করার জন্য জোঁকের মতো লেগে থাকতো খোকন। খোকন ছাড়া আমি জিরো।”