‘এইসব দিনরাত্রি’র টুনির ‘আত্মহত্যা’

বিটিভির ধারাবাহিক নাটক 'এই সব দিন রাত্রি'র যে টুনির প্রাণরক্ষার জন্য সারা দেশের মানুষ চিঠি লিখে অনুরোধ জানিয়েছিলেন নাট্যকার হুমায়ূন আহমেদকে সেই টুনি চরিত্রে রূপদানকারী অভিনেত্রী নায়ার সুলতানা আর নেই। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2014, 10:59 AM
Updated : 17 Oct 2014, 11:13 AM

প্রাথমিকভাবে  তার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে অনুমান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার এ এস আই বোরহান উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় তাদের খবর দেওয়া হয়। তৎক্ষণাৎ এস আই মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে গুলশান থানা পুলিশের একটি দল নায়ারের লাশ উদ্ধার করে রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এদিকে নায়ারকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী আলী আমিনের বিরুদ্ধে তার মা রাজিয়া সুলতানা গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, নায়ারের লাশ ঢাকা মেডিকেলে পাঠানোর পরই মা রাজিয়া সুলতানা ৯টা ৪০ মিনিটে গুলশান থানায় এসে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর নায়ারের গুলশানের বাসার কাছ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

আসাদুজ্জামান বলেন, “পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি বিয়ের পর থেকেই নানা ইস্যুতে নায়ারের সঙ্গে বনিবনা হত না স্বামী আমিনের। আমিন মানসিক ও শারীরিকভাবে নায়ারকে অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা। তাদের ধারণা, অতিরিক্ত অত্যাচার সইতে না পেরে নায়ার আত্মহত্যা করেছেন।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, আমিন বেঙ্গল তোয়াল ইন্ডাস্ট্রিজে কর্মরত। ৩৫ বছর বয়সী নায়ারের আনহা আমিন(৯) এবং আজারি আমিন (৬) নামে দুটি সন্তান রয়েছে।

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, “নায়ারের গলার ডান দিকে ও বাম হাতের গিরায় আঘাতের কালো দাগের মতো চিহ্ন পাওয়া গেছে। মৃত্যুর আগে নায়ারকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল কি না তা জানতে ময়নাতদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে।”

বন্ধু ও পরিচিতদের কাছে নায়ার লোপা নামে পরিচিত ছিলেন। নায়ারের বন্ধু সাংবাদিক বিজলি হক গ্লিটজকে বলেন, “লোপার বিয়ের আয়োজনের পুরোধা ছিলাম আমি। ওর মতো হাস্যোজ্জ্বল মেয়েটি এভাবে হারিয়ে যাবে আমি মানতে পারছি না। ওর দুটো বাচ্চা মেয়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গেল। খুব খারাপ লাগছে।”