অনন্ত জলিলের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান মনসুন ফিল্মসের মিডিয়া ম্যানেজার এস এম সজীব গ্লিটজকে জানান, সম্প্রতি জাপানি সিনেমা পরিবেশক প্রতিষ্ঠান নিকাতসুর সঙ্গে এক চুক্তি সই করেছে মনসুন ফিল্মস। কোম্পানিটি জাপানি চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বলিউড ও হলিউডি চলচ্চিত্রগুলোও প্রদর্শন করে থাকে।
নিকাতসু কোম্পানির আওতাধীন সিনেমা হলগুলোর মধ্যে প্রথমে নিচিগেকি প্লেক্স, পরে নিউ তোহো সিনেমা, সিনে লা সেপ্ট, গিঞ্জা সিনে পাথোস, টগেকি, সিনেমা লিবার ইকেবুকারো, হিউম্যাক্স সিনেমাস ফোর সিনেমা হলগুলোতে প্রদর্শিত হবে 'মোস্ট ওয়েলকাম-টু'।
এস এম সজীব জানান, এর মাধ্যমে জাপানে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শনের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে বলে মনে করছেন অনন্ত। জাপানের পর মালয়েশিয়াতেও সিনেমাটি মুক্তির ব্যাপারে পরিকল্পনা চলছে। এছাড়াও যুক্তরাজ্য, ইতালি, দুবাই, কাতার ও সিঙ্গাপুরে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হবে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন সজীব।
সিনেমাটির অডিও প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অনন্ত জলিল গ্লিটজকে বলেছিলেন, বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেতে যাওয়া সিনেমাটির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আসবে বলে মনে করেন তিনি। বিশ্ববাজারে সিনেমাটি ভালো ব্যবসা করতে পারবে বলেও আস্থা আছে তার।
‘মোস্ট ওয়েলকাম’ এর এবারের পর্বটি নির্মিত হয়েছে ক্যান্সারের প্রতিষেধক আবিস্কারকে কেন্দ্র করে। ক্যান্সারের প্রতিষেধকের আবিস্কার করায় বিজ্ঞানী হাসান মঈন খানের পিছূ লাগে আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্র। এমন সংকটের মুহূর্তে অন্যায়কারীদের যম হিসেবে আবির্ভাব হয় সৎ ও নিষ্ঠাবান পুলিশ অফিসার অনন্তের। বিজ্ঞানীকে রক্ষা করতে গিয়েই তিনি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বিজ্ঞানী খানের নাতনী অধরা চৌধুরীর (আফিয়া নুসরাত বর্ষা) সঙ্গে। এদিকে অপরাধচক্র দেশব্যাপী ছোঁয়াচে ক্যান্সারের ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়।
সিনেমাতে বিজ্ঞানী হাসান মঈন খানের চরিত্রে সোহেল রানা, অনন্তর মায়ের চরিত্রে দিতি, বর্ষার মায়ের চরিত্রে চম্পা এবং একটি খলচরিত্রে মিশা সওদাগর অভিনয় করেছেন।
সিনেমাটি বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, জোনাকিসহ অর্ধশতাধিক হলে চলছে।