বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বুটিক সিনেমা

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের সহযোগী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বুটিক সিনেমা। ছয়জন নতুন চলচ্চিত্র নির্মাতাকে পৃষ্ঠপোষকতার উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটির তরফ থেকে বলা হচ্ছে, নির্মাতা অমিতাভ রেজা, আদনান আল রাজিব, গোলাম কিবরিয়া এবং রবিউল আলম রবি সিনেমা নয় টেলিফিল্ম বানানোর পরিকল্পনা জমা দিয়েছেন। 

জয়ন্ত সাহাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 July 2014, 11:11 AM
Updated : 17 July 2014, 11:11 AM

আরও বলা হয়, এ চার নির্মাতা ঘোষণা দিয়েও সিনেমা নির্মাণের কোনো উদ্যোগই নেননি। বরং বিজ্ঞাপন নির্মাণে ব্যস্ত ছিলেন তারা।

ইমপ্রেস টেলিফিল্মের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের পরিচালক ইবনে হাসান খান বৃহস্পতিবার গ্লিটজকে বলেন, “সিনেমা নির্মাণ করতে হলে পরিচালকের অনে‌ক পরিশ্রম ও একাগ্রতা প্রয়োজন। এ ব্যাপারগুলো ওদের মধ্যে নেই।”

“এ ধরনের পরিচালকদের নিয়ে আলাদাভাবে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চালানোরও কোনো যুক্তি নেই। ইমপ্রেস টেলিফিল্মসের অধীনেই সব সিনেমা নির্মিত হবে।”

বুটিক সিনেমার পরিকল্পনাকারী এবং প্রযোজক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “বুটিক সিনেমার ধারণাটি আমার হলেও এটি কিভাবে চলছে বা চলবে পুরো ব্যাপারটিই ইমপ্রেস টেলিফিল্ম জানে। ওরাই এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।”

বুটিক ফিল্মস বন্ধ হয়ে গেলে নবীন পরিচালকদের কি হবে – এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি ফারুকী।

বুটিক বন্ধের খবরে ‘হতাশ’ অমিতাভ রেজা বলেন, “আমরা এ ব্যাপারে এখনও বিস্তারিত জানি না। যদি বুটিক বন্ধ হয়ে যায়, তবে বসে থাকব না। আমি যেভাবেই হোক ‘প্রক্সি’ সিনেমাটি নির্মাণ করবই।”

২০১৩ সালের ৩০ জুন অমিতাভ রেজা, আকরাম খান, আদনান আল রাজীব, আবু শাহেদ ইমন, গোলাম কিবরিয়া এবং রবিউল আলম রবিকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে বুটিক সিনেমা। এ প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে অমিতাভ ‘প্রক্সি’, আদনান আল রাজিব ‘প্রজন্ম এক্স’, গোলাম কিবরিয়া ‘কর্পূর’, রবিউল আলম রবি ‘টাকার খেলা’, আকরাম খান ‘কে’ এবং আবু শাহেদ ইমন ‘জালালের পিতাগণ’ নামে ছয়টি সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেন। ছয়টি সিনেমার প্রযোজক হিসেবে ছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

যাত্রা শুরুর এক বছরের মধ্যে কেবল আকরাম খান ও আবু শাহেদ ইমনই চলচ্চিত্র নির্মাণের সব প্রক্রিয়া শেষ করেন। আকরাম খানের সিনেমার নাম বদলে রাখা হয় ‘ঘাসফুল’। ইমন ‘জালালের পিতাগণ’ নাম পাল্টে রাখেন ‘জালালের গল্প’।

‘জালালের গল্প’ সিনেমাটি দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এশিয়ান সিনেমা ফান্ড (এসিএফ) অর্জন করেছে।