এশিয়ান সিনেমা ফান্ড জিতল ‘জালালের গল্প’

দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এশিয়ান সিনেমা ফান্ড (এসিএফ) অর্জন করেছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ‘জালালের গল্প’। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন আবু শাহেদ ইমন।

জয়ন্ত সাহাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2014, 01:10 PM
Updated : 1 July 2014, 01:10 PM

ইমন গ্লিটজকে জানান, ‘জালালের গল্প’ সিনেমাটিকে বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সালের এশিয়ান সিনেমা ফান্ডের পোস্ট প্রোডাকশন ক্যাটাগরিতে নির্বাচন করেছে।

এশিয়ার ৫২টি দেশ থেকে ৫৬৫টি আবেদন করা হয়। যেখান থেকে মোট ২৯টি প্রকল্প নির্বাচিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি এশীয় এবং ১১টি কোরীয় প্রকল্প।

তিনি আরও জানিয়েছেন, স্ক্রিপ্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড, পোস্ট প্রোডাকশন ফান্ড এবং প্রামাণ্যচিত্র-- এই তিনটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয় সিনেমাগুলো।

প্রতি বছর এশিয়া থেকে চলচ্চিত্রকাররা তাদের সদ্য নির্মিত চলচ্চিত্র সম্পাদনা করে এশিয়ান সিনেমা ফান্ডের জন্য জমা দেওয়ার সুযোগ পান। সেখান থেকে ৩-৪টি সিনেমাকে নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলোকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে আগাম চিহ্নিত করা হয়।

‘জালালের পিতাগণ’ নামে সিনেমার শুটিং শুরু করলেও পরে গল্পের প্রয়োজনে সিনেমার নাম পরিবর্তন করেছেন আবু শাহেদ ইমন।

ইমন বলেন, “সিনেমাতে জালালের পিতাদের থেকে জালাল চরিত্রটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাকে ঘিরেই সিনেমার কাহিনি। এমনকি তার মা চরিত্রের অভিনেত্রীরা পিতাদের চেয়ে মুখ্য হয়ে উঠেছেন। তাই বাধ্য হয়ে সিনেমার নাম পরিবর্তন করেছি।”

২০১৩ সালে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম তাদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বুটিক সিনেমার কার্যক্রম  শুরু করে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির প্রথম সিনেমা ‘জালালের গল্প’। এতে ‘জালাল’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নবাগত আরাফাত রহমান এবং মোহাম্মদ ইমন।

জালালের পিতাদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌকির আহমেদ, মোশাররফ করিম এবং নূরে আলম নয়ন। ‘শিলা’ নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে মৌসুমি হামিদকে।

ইমন জানান, চলতি বছর জুলাইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ডিআইও ফাইনাল সাউন্ড মিক্সিংয়ের কাজ সম্পাদনা করবেন। এরপর অক্টোবরে সিনেমাটি বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার।

এর আগে আবু শাহেদ ইমন ২০১১ সালে এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেট থেকে ‘দ্য টেল অব অ্যা পুলিশম্যান’ -এর জন্য অনুদান পেয়েছিলেন। ২০০৮ সালে ইমন ‘আহা কি ফিল্মি!” নামে একটি মিউজিক্যাল ড্রামা নির্মাণ করেছিলেন।