“অন্য অভিনেতাদের মতো আমি কোনো হাউজের নিজস্ব অভিনেতা হতে চাই না। আমি সব পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করতে চাই। সব হাউজের সঙ্গেই কাজ করতে চাই। কোনো হাউজের হাজার নিষেধ, বাধা মানা আমার পক্ষে সম্ভব না।”
কিশোরগঞ্জের ছেলে সায়মন ২০১২ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ‘জ্বি হুজুর’ সিনেমার মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর একে একে কাজ করেছেন জাজের ‘পোড়ামন’, ‘এর বেশি ভালোবাসা যায় না’, ‘তোমার কাছে ঋণী’ সিনেমায়।
কিন্তু 'দবির সাহেবের সংসার' সিনেমা থেকে বাদ পড়ার পর জাজের তরফ থেকে বলা হয়, সায়মন অভিনীত কোনো সিনেমা মুক্তির ব্যাপারে ‘সহযোগিতা’ করবে না তারা।
জাজের ব্যানারে রোমান্টিক সব সিনেমায় অভিনয় করা এই নায়ক ‘অ্যাকশন হিরো’ হিসেবেই পরিচিত হতে চান। সেরকমই একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন মিজানুর রহমান শামীমের ‘ধ্বংস মানব’ সিনেমায়।
‘দুর্ধর্ষ’ এক পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে সায়মন বলেন, “অ্যাকশন সিনেমার দিকেই আমার ঝোঁক বেশি। অ্যাকশন সিনেমাতে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। অভিনয় দেখানোর সুযোগ যেমন থাকে, তেমনি দর্শকেরও আগ্রহ বেশি। এ সিনেমাতে আমাকে ঘিরেই কাহিনি আবর্তিত হচ্ছে।”
এর আগে ইফতেখার চৌধুরীর ‘অ্যাকশন জেসমিন’ নামে একটি সিনেমাতে অভিনয় করলেও তাতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন ইয়ামিন হক ববি।
সায়মনের হাতে রয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘ইটিশ পিটিশ প্রেম’, রাজু চৌধুরীর ‘তুই শুধু আমার’, শফিক হাসানের ‘স্বপ্ন ছোঁয়া’, এ জে রানার ‘তোমার জন্য পরাণ কান্দে’ এবং ‘অজান্তে ভালোবাসা’, সায়মন তারিকের ‘মাটির পরী, মিজানুর রহমান শামীমের ‘ধ্বংস মানব’, পি এ কাজলের ‘মায়াময়’, এফ আই মানিকের ‘সারপ্রাইজ’, শাহীন সুমনের ‘প্রবাসী ডন’ এবং ‘মিয়া বিবি রাজি’ এবং দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘মন জ্বলে’।