২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর প্রিমিয়ার শো হয়ে গেলেও নানা কারিগরি জটিলতায় কোনো হলে মুক্তি পায়নি সিনেমাটি।
কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ সিনেমা। এটি পরিচালকের প্রথম সিনেমা।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা চালাতে ‘পরিবেশকদের নানা অজুহাত’, ‘সাধারণ দর্শকের আগ্রহ কম থাকা’ ইস্যুতে সিনেমার ব্যবসায়িক সাফল্য নিয়ে সন্দিহান হলেও সারাদেশের ২০টি হলে ‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিচালক মাসুদ।
দেরিতে মুক্তির ব্যাপারে মাসুদ গ্লিটজকে বলেন, “সিনেমার প্রেস শো হয়ে যাওয়ার পর নানা খুঁটিনাটি দিক নিয়ে পর্যালোচনা করতে গিয়ে বেশকটি ত্রুটি খুঁজে পাই। সিনেমাতে প্রচুর টাকা লগ্নি করেছি। সে টাকা কীভাবে উঠে আসবে, এ ব্যাপারটিও মাথায় ছিল।”
সিনেমাতে ‘৬৮ লাখ টাকা লগ্নি’র দাবি করে মাসুদ জানান সরকারি অনুদান থেকে এসেছে ২২ লাখ টাকা। তবে মাসুদের ‘প্রয়োজনের তুলনায়’ তা ছিল ‘নিতান্ত নগন্য’।
সিনেমা মুক্তির আগে ব্যবসায়িক সাফল্য নিয়ে হতাশ মাসুদ।
মাসুদ বলেন, “মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সুস্থধারার সিনেমা দেখার দর্শক নিতান্ত হাতেগোনা। পরিবেশকরাও এমন সিনেমা নিতে চান না সহজে। যারা আমার সিনেমাটি প্রদর্শনের ব্যাপারে সায় দিয়েছেন তারাও ব্যবসায়িক সাফল্যের ব্যাপারে আশাবাদী নন। এত টাকা লগ্নি করলাম। এর কতভাগ টাকা যে উঠে আসবে বা আদৌ উঠে আসবে কি না জানি না।”
‘নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ’ সিনেমাতে তরুণ নেকাব্বরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুয়েল জহুর। বৃদ্ধ নেকাব্বরের চরিত্রে রূপদান করেছেন বাদল শহীদ। সিনেমার অন্য প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে শিমলা। এতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। আরও অভিনয় করেছেন মামুনুর রশিদ, প্রবীর মিত্র, সিমলা, জুয়েল, বাদল শহিদ, অসীম সাহা, রানী সরকার, রেহানা জলি, তারেক মাহমুদ, শেখ শাহেদ, সৈয়দ জুবায়ের, ফারহানা সুচি, সোহেল বয়াতি।
তবে প্রথম সিনেমার হতাশা ঝেড়ে ফেলে আরেকটি কবিতাভিত্তিক সিনেমা নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন মাসুদ। কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘অমলকান্তি’ এবং নির্মলেন্দু গুণের ‘আমি হয়ত মানুষ নই’ কবিতা অবলম্বনে তার সিনেমার নাম ‘দ্য রমনা পার্ক’।
জুন মাসের যে কোনো দিনে শুরু হবে এ সিনেমার শুটিং। তবে সিনেমাতে কারা অভিনয় করবেন এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি মাসুদ।