প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইনু বলেন, “গণমাধ্যমের নবীন সদস্য হিসেবে চ্যানেল ৫২ আবহমানকালের বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে।”
সম্প্রচারের অপেক্ষায় থাকা চ্যানেলটির কর্তৃপক্ষকে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “গণমাধ্যম হিসেবে চ্যানেল ৫২-এর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকলেও তাকে কিছু সীমারেখার মধ্যে কাজ করতে হবে। বাঙালির গণতান্ত্রিক অধিকার ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাবিরোধী কোনো অনুষ্ঠান বা সংবাদ প্রচার করা যাবে না।”
এর আগে উদ্বোধনী বক্তব্যে চ্যানেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেদা বাহার বিউটি বলেন, “নতুন গণমাধ্যম হিসেবে চ্যানেল ৫২ বাঙালির মন ও মননশীলতার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠবে।”
বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোর্শেদ আলম বলেন, “স্যাটেলাইট সংস্কৃতির যুগে ভিন্ন ভাষার চ্যানেলগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়ছে আমাদের তরুণ প্রজন্ম। বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তারা জানতে পারছে না। এভাবে চলতে থাকলে তা বাংলা সংস্কৃতির উপর বিরূপ প্রভাব বয়ে আনবে। তরুণ প্রজন্মকে দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী করে তুলতে চ্যানেল ৫২ সচেষ্ট থাকবে।”
লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, বিটিভির মহাপরিচালক ম. হামিদ ও উপপরিচালক বাহার উদ্দিন খেলন, নাট্যব্যক্তিত্ব ইনামুল হক, আরটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক রহমান।
লোগো উন্মোচন শেষে অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, রিজিয়া পারভীন ও পলাশ। ইভান শাহরিয়ার সোহাগের কোরিওগ্রাফিতে নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্যভূমির সদস্যরা ।