আলোর দুনিয়ার পিছনে অন্ধকার দুনিয়া : পিয়া

র‌্যাম্প মডেলের পরিচয় ছেড়ে জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া এখন পুরোদস্তুর অভিনেত্রী। গ্লিটজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিয়া জানালেন তার সাম্প্রতিক ব্যস্ততার গল্প। ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রে পিয়ার সাবলীল অভিনয় মন কেড়েছে দর্শকের। এ সাফল্যের পর পিয়া অভিনয় করছেন তিনটি চলচ্চিত্রে।  এখন রিকিয়া মাসুদের ‘ স্টোরি অব সামারা’, আশিকুর রহমানের ‘গ্যাংস্টার রিটার্ন’, আহমেদ আলী মণ্ডলের ‘প্রবাসীর প্রেম’-এ কাজ করছেন তিনি।

জয়ন্ত সাহা বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2013, 11:28 AM
Updated : 25 Sept 2013, 10:19 AM

গ্লিটজ : ‘স্টোরি অব সামারা’তে আপনি কোন চরিত্রতে অভিনয় করছেন?

পিয়া : পাঁচ বন্ধুর গল্প নিয়ে সিনেমা ‘স্টোরি অব সামারা’। এতে আমার চরিত্রের নাম পিয়া। বন্ধুদের সবাই প্রেমে পড়লেও আমি পড়াশোনা ও গবেষণা নিয়েই ব্যস্ত থাকি। আমার উৎসাহ ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের নিয়ে। এক সময় আমার দেখাদেখি বন্ধুরাও ভিনগ্রহের প্রাণী নিয়ে উৎসাহী হয়। একদিন ভিনগ্রহের বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় আমাদের। তারা নেমে আসে পৃথিবীতে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাদের অপহরণ করে তাদেও গ্রহে নিয়ে যায় ভিনগ্রহবাসীরা। সেখানে চলছে পৃথিবী ধ্বংসের ষড়যন্ত্র। প্রতিকূল অবস্থাতেও পিয়া ভেঙে পড়ে না। সে অচেনা প্রাণীদের মনস্তত্ত্ব নিয়ে খেলতে শুরু করে। মনস্তত্ত্বের খেলায় হেরে যায় ভিনগ্রহবাসী। তাদের মানসিক দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগায় পিয়া। পিয়ার বুদ্ধিমত্তায় মুক্তি পায় পৃথিবী।

গ্লিটজ : ‘গ্যাংস্টার রিটার্ন’-এ দুর্ধর্ষ এক নারীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এই সিনেমায় আপনার চরিত্রের গল্পটি বলুন।

পিয়া : সিনেমায় আমার চরিত্রটির নাম শিনা। শুরুতেই আমার ছোট ভাই এক দুর্ঘটনায় মারা যায়। সন্তান হারানোর শোক সামলাতে না পেরে মারা যায় বাবা-মাও। এই একাকিত্বে শিনার সাহায্যে এগিয়ে আসে  শাওন। এই চরিত্রটি করেছেন অপূর্ব। শাওন নিজেও পুরো পরিবারকে এক দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন। দুই বন্ধু মিলে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জানতে পারেন  ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা নয়। এটি ঠাণ্ডা মাথার খুন। দুই বন্ধু মিলে হন্যে হয়ে খুনিকে খুঁজতে শুরু করেন।

গ্লিটজ : সম্প্রতি আহমেদ আলী মণ্ডলের ‘প্রবাসীর প্রেম’ চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এ চলচ্চিত্রে আপনার ভূমিকা কী?

পিয়া : প্রবাসীর প্রেম চলচ্চিত্রে আমার নাম মম। মম একটি হোটেলের হিসাবরক্ষক। যে ভালোবাসে হোটেলের চিফ ওয়েটারকে। এই চরিত্রটি করছেন নীরব। মমর ভালোবাসার পথে বাঁধা হোটেল মালিক। সেও মমর প্রেমপ্রার্থী। ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র। এটির শুটিং শুরু হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।

গ্লিটজ : ‘চোরাবালি’ চলচ্চিত্রের পর কিছু নাটকেও অভিনয় করেছেন আপনি। নাটক নিয়ে কী ভাবছেন ?

পিয়া : আমার দৃষ্টি এখন চলচ্চিত্রে। চলচ্চিত্র ছাড়া আর কিছুই ভাবতে চাই না। কাছের মানুষদের অনুরোধে নাটকে কাজ করলেও নাটকে কোনো আগ্রহ নেই।

গ্লিটজ : আপনি মিডিয়ায় কাজ শুরু করেছিলেন র‌্যাম্প মডেল হিসেবে। র‌্যাম্প কাজের খবর কী?

পিয়া : আমার প্রথম ভালোবাসার জায়গা র‌্যাম্প। র‌্যাম্পের মাধ্যমেই আজকের অবস্থানে এসেছি। কিন্তু র‌্যাম্প নিয়ে এখন আর ভাবতে চাই না। সম্প্রতি নানা ইস্যুতে র‌্যাম্প নিয়ে মনটা বিষিয়ে উঠেছে। র‌্যাম্পের বাইরে মডেলদের আলাদা একটা জীবন আছে । র‌্যাম্পের নানা ঘটনা ব্যক্তিগত জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আমি এর ভুক্তভোগী। কোরিওগ্রাফারদের সঙ্গেও মডেলদের নানা ঝামেলা লেগেই আছে। দেশের সবচেয়ে বড় র‌্যাম্প শো ‘ঢাকা ফ্যাশন উইক’-এ অব্যবস্থাপনার ছাপ ছিল স্পষ্ট। র‌্যাম্প মানেই আলোর দুনিয়া। এই আলোর দুনিয়ার পিছনে রয়েছে এক অন্ধকার দুনিয়া। এখন তো নিজেকে টিকিয়ে রাখা মুশকিল। তাই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি।